গত ২৯ আগস্ট বিআরটিএর ঢাকা জোন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় এ তথ্য জানিয়েছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আগের ভাড়ায় ফিরে যাওয়ার বিষয়ে বিআরটিএ গণমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে।
তাতে সাবেক ভাড়ায় ফিরে যাওয়ায় কিছু শর্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। শর্তগুলো হলো আসনসংখ্যার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না, গণপরিবহনে যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার, কন্ডাক্টর, হেলপার এবং টিকিট বিক্রয়ে নিয়োজিতদের মাস্ক পরিধান করতে হবে, তাঁদের হাত ধোয়ার জন্য সাবান, পানি ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
যাত্রার শুরু এবং শেষে বাস-মিনিবাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া যাত্রীর হাতব্যাগ ও মালপত্র জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। আর স্বাস্থ্যবিধিসংক্রান্ত অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়ও মেনে চলতে হবে।
গত ১৯ আগস্ট বাস মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের বৈঠকে করোনাকালীন আগের ভাড়ায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
ওই বৈঠকের সুপারিশ পাঠানো হয় মন্ত্রিপরিষদে। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে গণপরিবহন বন্ধ করা হয়। পরে সব বাসে অর্ধেক যাত্রী বহনসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী বহন করতে বাস মালিকপক্ষ ৮০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানায়। সরকার ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়ে ৩১ মে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
১ জুন থেকে শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহন চালু করা হয়। তবে শর্ত মানা হচ্ছে না বলে বিভিন্ন মহল থেকে বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি ওঠে। মালিকপক্ষের ‘যত আসন তত যাত্রী’ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার শর্তসাপেক্ষে করোনা পূর্বকালীন ভাড়া কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয়।
আজ থেকে গণপরিবহনে সাবেক ভাড়ায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
গণপরিবহনে শর্ত মানার বিষয়ে কোনো তদারকির বিষয়ে বিআরটিএর পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) খন্দকার অলিউর রহমান বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা সব জেলায় আমাদের কর্মকর্তাদের সংবাদ পৌঁছে দিয়েছি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ে বৈঠক চলছে। পরিস্থিতি তদারকি করতে আমরা মাঠে থাকব। আমাদের চেয়ারম্যানও মাঠে থাকবেন।’