এস আলম গ্রুপের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই চিনি পরিশোধনাগার স্থাপনে বিশ্বখ্যাত এক প্রকৌশল পরামর্শক ও ইপিসি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে তারা। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয় কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রামের পরিশোধনাগার স্থাপিত হবে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার আজিমপাড়া ইউনিয়নের ইছানগরে এবং ঢাকার পরিশোধনাগার তৈরি হবে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গঙ্গানগরে। এই পরিশোধনাগার দুটি ২০২৫ সালের মধ্যে পুরোদমে চালু হবে বলে এস আলম গ্রুপ আশা করছে।
প্রতিটি পরিশোধনাগারের দৈনিক পরিশোধন সক্ষমতা ৩ হাজার ২০০ মেট্রিক টন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই পরিশোধনাগার দুটিতে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, সুইডেন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপান ও থাইল্যান্ডের উন্নতমানের যন্ত্র-উপকরণ ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এস আলম মনে করছে, এতে বাংলাদেশের চিনি পরিশোধন শিল্পে বড় পরিবর্তন আসবে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুসারে, নতুন এই পরিশোধন প্রকল্পে চিনি বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করতে উচ্চ সক্ষমতার ম্যাগনেটিক সেপারেটর ব্যবহার করা হবে। সম্পূর্ণ অটোমেশন পদ্ধতি ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ৫০ কেজি ট্রেডিং ব্যাগ, ১ হাজার কেজি কমার্শিয়াল ব্যাগ, ১ কেজি ও ১/২ কেজি খুচরা প্যাকেটে চিনি প্যাকেটজাত করা হবে। এ ছাড়া উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে আনতে এবং পরিবহন ও সংরক্ষণ ঝুঁকি প্রশমনে পরিশোধনাগার দুটি থেকে বেভারেজ ও ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর জন্য লিকুইড সুগার সরবরাহ করা হবে।
এস আলম গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক আখতার হাসান এ প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, ‘দেশের ভোক্তাদের জন্য মানসম্পন্ন চিনির সরবরাহ নিশ্চিত করতে এই পরিশোধনাগার দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আশা করছি, নির্ধারিত সময়েই চিনি পরিশোধনাগার দুটি কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই পরিশোধনাগার পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে তৈরি করা হবে। শিল্পবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্যবহার করা হবে রোটারি লাইম ক্লিন ও ব্রাইন রিকভারি প্ল্যান্ট। এই চিনি মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর হবে না।
দেশে চিনির বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৪ লাখ টন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এস আলম গ্রুপের এই নতুন দুটি চিনি পরিশোধনাগার চালু হলে তা ভোক্তা পর্যায়ে সুলভ মূল্যে চিনি সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এই দুটি পরিশোধনাগার ছাড়াও এস আলম গ্রুপ দেশের উত্তরাঞ্চল (রংপুর ও দিনাজপুর) ও ফরিদপুরে দুটি বড় পরিশোধনাগার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে, যার মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে সংগৃহীত আখ অথবা কারখানায় উৎপাদিত অন্যান্য কাঁচামাল থেকে চিনি উৎপাদন ও পরিশোধন করে তা সরবরাহ করা হবে।
অর্থসংবাদ/এসএম