ডিএসইর তথ্যা অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চে ডিএসইতে মোট ৯ হাজার ৪০৬ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুায়ল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। সেখান থেকে লেনদেনের ওপর কমিশন বাবদ সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ১৭ কোটি ৫২ লাখ ৭৮ হাজার ২৯২ টাকা।
গত বছর একই সময়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছিল ১৮ হাজার ৫৪২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। সেখান থেকে রাজস্ব আয় হয়েছিল ২৪ কোটি ৫০ লাখ ৪৯ হাজার ৪৫৯ টাকা। অর্থাৎ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় ২০২৩ সালের মার্চ মাসে সরকার রাজস্ব হারিয়েছে ৫ কোটি ৯৩ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯৮ টাকা।
আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, দুই ধরনের শেয়ার কেনা-বেচা থেকে সরকার রাজস্ব আয় করে। প্রথমটি হলো- কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার কেনা-বেচা থেকে রাজস্ব আয়। দ্বিতীয়টি হলো- বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনা-বেচায় ব্রোকারেজ হাউজের ওপর আরোপিত কর।
ডিএসইর তথ্য মতে, দুই ধরনের করের মধ্যে প্রথমটি হলো- ডিএসইর স্টেক হোল্ডারদের দৈনিক লেনদেনের ওপর দশমিক ০৫ শতাংশ কর। এ খাত থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজস্ব আয় হয়েছে ৯ কোটি ২১ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫৮ টাকা। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমান ছিল ১৮ কোটি ৫৬ লাখ ৮৪ হাজার ৫৬১ টাকা।
অন্যদিকে, বিএসইসি রুলস ৫৩-এম অনুসারে, স্পন্সর শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার কেনা-বেচা বাবদ লেনদেন ও শেয়ার হস্তান্তর থেকে ৫ শতাংশ হারে কর বাবদ রাজস্ব আয় হয়েছে ৮ কোটি ৩১ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৪ টাকা। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমান ছিল ৫ কোটি ৯৩ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯৮ টাকা।
সব মিলিয়ে ডিএসই থেকে মোট রাজস্ব আয় হয়েছে ১৭ কোটি ৫২ লাখ ৭৮ হাজার ২৯২ টাকা। ডিএসই এ টাকা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) জমা দিয়েছে।
গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে জমা দিয়েছিল ২৪ কোটি ৫০ লাখ ৪৯ হাজার ৪৫৯ টাকা। সে হিসেবে ২০২২ সালের মার্চ মাসের তুলনায় চলতি বছরের মার্চ মাসে সরকার রাজস্ব হারিয়েছে ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ টাকা।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ডিএসইর রাজস্ব আয় ছিল ১৩ কোটি ৭৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬২ টাকা। সে হিসেবে মাসের ব্যবধানে ডিএসইর রাজস্ব আয় বেড়েছে ৩ কোটি ৭৭ লাখ ২৮ হাজার ৭৩০ টাকা।
অর্থসংবাদ/এসএম