তিনি বলেন, ‘সে সময় যদি এটা স্থগিত না করতো, তাহলে আমরা এখানে একটা ভালো মার্কেট তৈরি করে দিতে পারতাম। তাহলে আজ এই ধরনের ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতো না।’
বুধবার (৫ মার্চ) গণভবনে পদ্মা সেতুর ঋণ পরিশোধের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
বঙ্গবাজারে আগুন নেভানোর সময় ফায়ার ব্রিগেডে হামলাকারীদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বলব যে দেশের কিছু লোকের আচরণ আমাকে ক্ষুব্ধ করেছে। যখনই আগুন লেগেছে, ফায়ার ব্রিগেড সেখানে চলে গিয়েছে আগুন নেভাতে। এর সঙ্গে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, আনসার বাহিনী, ভলান্টিয়ার প্রত্যেকে সকাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। কথা নেই বার্তা নেই, দুপুরের পর একদল লোক লাটিসোঁটা নিয়ে ফায়ার সার্ভিস অফিসের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালানো শুরু করে।
এ সময় হামলাকারীদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা ফায়ার ব্রিগেডে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আশ্বাস দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঈদের আগে এমন একটা দুর্ঘটনায় কত মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্য করেছে, তাদের সত্যিই যে কষ্টটা, তাদের কান্না, এটা সহ্য করা যায় না। ইতোমধ্যে আমি বলে দিয়েছি তাদের যতটুকু পারি সাহায্য করবো এবং কার কী রকম ক্ষতি হয়েছে, এটা দেখবো।
এদিন প্রধানমন্ত্রী অর্থ বিভাগ ও সেতু কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী পদ্মা সেতুর প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, অর্থ মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ।