শনিবার (৮ এপ্রিল) বঙ্গবাজারে এনেক্সকো টাওয়ারের পশ্চিম পাশে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন।
বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. নাজমুল হুদা ও সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলামসহ অন্য ব্যবসায়ীরা।
মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের পর দেশ-বিদেশ থেকে অনেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন আশ্বাস পেয়েছি। কিছুক্ষণ আগে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন, অধিদপ্তরের সবার একদিনের বেতন ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় দেওয়া হবে। কীভাবে টাকা দেবেন জানতে চেয়েছিলেন। আমি জানিয়েছি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কথা। আমাদের সহায়তার এ টাকা দোকান মালিক পাবেন না, টাকা পাবেন প্রকৃত ব্যবসায়ীরা, যারা দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন। দোকানের লোহালক্কড় ৪০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সে টাকাও অ্যাকাউন্টে যাবে। পরে এক চেকের মাধ্যমে সব টাকা মেয়রের কাছে জমা হবে। সেখান থেকে ব্যবসায়ীদের দেওয়া হবে।
বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, অনেক ভুয়া ব্যক্তি নিজেদের ব্যবসায়ী দাবি করে অর্থ সহায়তা নিচ্ছেন, এমন অভিযোগ উঠেছে। তারা নিজেদের অসহায় দাবি করছেন সবার সামনে। এ কারণে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বা তারা সহায়তা পাচ্ছেন না। এ অভিযোগের কারণে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতি আইএফআইসি ব্যাংকে ‘বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত সহায়তা তহবিল’ নামে একটি ব্যাংক হিসাব চালু করেছে। আইএফআইসি ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাব নম্বরটি হলো ০২০০০৯৪০৬৬০৩১৯। এ হিসাবে কোনো সহায়তা এলে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা পাবেন। কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।
গত মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টার পর লাগা আগুনে বঙ্গবাজারের ৫টি মার্কেট পুরোপুরি পুড়ে গেছে। আগুনে ৫ হাজারের বেশি দোকানপাট পুড়ে ছাই হয়েছে।