তিনি বলেন, ব্রোকারদের পুরুস্কৃত করা নিয়ে কমিশনে আলোচনা হয়েছে। যাতে করে এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিকভাবে সেবা প্রদান করে।এক্ষেত্রে বিএসইসির চেয়ারম্যান উৎসাহিত করেছেন।
আজ বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট ব্যবহার করা নিয়ে আয়োজিত এক ট্রেনিং প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ট্রেনিং প্রোগ্রামটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেট (বিএএসএম), বিএসইসি ও ডিএসইর ট্রেনিং একাডেমি।
অনুষ্ঠানে বক্তারা ডিএসই যথাসময়ে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) প্রকাশ করে না বলে অভিযোগ করেন। আগামিতে এ সমস্যাটি কাটিয়ে উঠার দাবি করেছেন। এছাড়া প্রবাসিদের জন্য ওয়েবসাইটে তথ্য সংযোজন, শিক্ষার্থীদের শেখার জন্য ম্যাটেরিয়াল তথ্য রাখা, তথ্য আপডেট করা, লেনদেনের তথ্য রিয়েল টাইম দেখানো না গেলেও ৩ মিনিটের ব্যবধান কমিয়ে ৩০ সেকেন্ডে আনা, ওয়েবসাইট আরও বেশি ব্যবহারবান্ধব করাসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন।
শেখ সামসুদ্দিন বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএসইসি, ডিএসই ও সিএসইর নাম লোগো ব্যবহার করে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। অনেকেই শেয়ার দর বাড়বে বলে নির্দিষ্ট সিকিউরিটিজে বিনিয়োগকারীদেরকে প্রভাবিত করছে। এ জাতীয় গুজব বা শেয়ারবাজারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এমন কোন কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হলে, তা আমরা গ্রহণ করব না। তাই সবাইকে এ বিষয়ে সাবধান হতে বলব। অন্যথায় কমিশন আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে প্রযুক্তিকে এগিয়ে নিতে হবে। পুরো পৃথিবী এখন প্রযুক্তি খাতে এগিয়ে যাচ্ছে। কারন কিছুদিন আগেও আমাদেরকে প্রযুক্তি খাতে ঘাটতির কারনে শেয়ারবাজার বন্ধ রাখতে হয়েছিল। এই খাতে উন্নয়ন করতে পারলে, আজকের অনুষ্ঠানে যেসব প্রতিবন্ধকতার বিষয় উঠে এসেছে, সেগুলো কম উঠে আসতে পারত।
আমাদের শেয়ারবাজার ইক্যুইটি মার্কেট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে মার্কেটে ডেরিভিটিবসসহ নানা পণ্য আসবে। তখন লেনদেন অনেক বেড়ে যাবে। একইসাথে বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বেড়ে যাবে। যা ম্যানেজ করার মতো সক্ষমতা এখন থেকেই তৈরী করতে হবে।