মেয়র বলেন, এ পুনর্বাসনে সহযোগিতা ছাড়াও আমরা আর্থিকভাবে মানবিক সহায়তা দেব। আমরা গতকাল করপোরেশন সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনে গঠিত তহবিলে করপোরেশন নিজস্ব অর্থ থেকে দুই কোটি টাকা অনুদান হিসেবে দেব।
তিনি বলেন, আমার গত রোববার ব্যবসায়ী, দোকান মালিক সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট সকল নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বসেছিলাম। আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল, ঈদের আগে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যাতে করে আবার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তাদের পুনর্বাসন যেন করা যায়। সেই লক্ষ্য নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সোমবার ভোর থেকে কাজ শুরু করেছে। ৪ ঘণ্টার মধ্যেই আগুনে পুড়ে যাওয়া কয়েক হাজার টন বর্জ্য আমরা পরিষ্কার করেছি। রাতের মধ্যে আমরা ইট বিছিয়ে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এই প্রতিকূল অবস্থার মাঝেও আমরা স্থির করেছিলাম, যেন আমাদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায় আবার ফিরে আসতে পারেন। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ শুরু করি এবং আল্লাহর রহমতে করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় আজ সকাল থেকেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছেন।
যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র বলেন, এটাই বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় ঐক্যের জায়গা। দুর্যোগকালে আমরা একে অপরের পাশে দাঁড়াই, একে অপরকে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিই। আমি আন্তরিকভাবে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।