মন্ত্রী বলেন, ‘টিকিটবিহীন তথাকথিত যাত্রীদের আর ট্রেন ভ্রমণের সুযোগ নেই। প্রত্যেক যাত্রীকে টিকিট দেখিয়ে স্টেশনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। টিকিটবিহীন যাত্রী প্রবেশ বন্ধে ঢাকামুখী ট্রেনগুলো এবার বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ঈদের ছুটি মানুষ যেন আনন্দে পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারে, এজন্য রেলওয়ে কর্মচারীদের ছুটি থাকবে না। যাত্রীদের ঈদযাত্রা আনন্দদায়ক করতে ঈদের ছুটি রেলের কর্মচারীরা ভোগ করতে পারেন না।’
শিডিউল বিপর্যয় নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন যেটা চলছে, সেটাকে শিডিউল বিপর্যয় বলা যাবে না। তবে এক লাইনে ট্রেন চললে সেক্ষেত্র কোনো দুর্ঘটনা হলে শিডিউল সমস্যায় পড়ে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে শুধুমাত্র আন্তঃনগর ১০৪টি (৫২ জোড়া) ট্রেনের ৩০ হাজার টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। এর বাইরে লোকাল ও কমিউটার ট্রেনের ৩০ হাজার টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে ১৫ হাজার স্ট্যান্ডিং টিকিট। সব মিলিয়ে প্রায় ৭৫ হাজারের মতো যাত্রী বহনের সক্ষমতা আমাদের আছে।
মন্ত্রী বলেন 'আমরা কোনো নতুন ট্রেন দিচ্ছি না, ৯টি স্পেশাল ট্রেন দিয়েছি। আমরা রেক পরিবর্তন করছি দুটি। একটি হলো—চিলাহাটিমুখী নীল সাগর ট্রেন; পদ্মা এক্সপ্রেসের নতুন যে বগি এসেছে, ইতোমধ্যে ৪৫টি বগি প্রস্তুত হয়েছে। নীল সাগর ও বেনাপল এক্সপ্রেসে আমরা নতুন বগি দিয়েছি, পুরোনো বগি বাদ দিয়েছি। একটি ট্রেনে ১৩টি, আরেকটিতে ১২টি বগি আমরা ব্যবহার করব।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেল সচিব, রেলওয়ে মহাপরিচালকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।