বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর বলেন, ঈদে ঘরমুখী মানুষের চাপে প্রতিবারের মতো এবারও যানবাহনের চাপ বাড়ছে। সেতুর টোল আদায়ে যাতে কোনো বিপত্তি না ঘটে, সে জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ৩২ ঘণ্টায় সেতুতে রেকর্ড পরিমাণ টোল আদায় হয়েছে।
সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকেই মহাসড়কটিতে অন্যান্য দিনের তুলনায় অতিরিক্ত গাড়ির চাপ লক্ষ করা যাচ্ছে। ফলে এ মহাসড়কে উত্তরের পথে যানবাহন চলাচল করছে ধীরগতিতে। বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে পারাপার হওয়া যানবাহনের মধ্যে মোটরসাইকেলের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৭০০।
আজ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম গোলচত্বর থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, প্রচণ্ড রোদ ও গরম উপেক্ষা করে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ির দিকে ছুটছে মানুষ। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কড্ডার মোড় এলাকায় কথা হয় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের পোশাকশ্রমিক জাহিদুল করিমের সঙ্গে। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকার মিরপুর এলাকায় থাকেন। গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকার গাবতলী থেকে রওনা হন। মহাসড়কে তিনি যানজট দেখেননি। তবে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে যানবাহন কিছুটা ধীরগতিতে চলছে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুল কবীর বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কটিতে যানবাহনের চাপ অনেকটাই বাড়তে দেখা যাচ্ছে। তবে এখনো কোথাও কোনো প্রকার যানজট সৃষ্টি হয়নি। ঈদযাত্রা ভোগান্তিমুক্ত করতে মহাসড়কে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হাইওয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জগামী এসআই পরিবহনের চালক আতিকুর রহমান বলেন, মহাসড়কে নির্মাণকাজ চলমান থাকায় বেশ কিছু স্থানে যানবাহনের গতি কমাতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে একপর্যায়ে যানজট সৃষ্টি হতে পারে।
সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ ও জেলা ট্রাফিক বিভাগ সূত্র জানায়, জেলার ৪৫ কিলোমিটার মহাসড়কে ২০টি ভ্রাম্যমাণ দলসহ মোট সাড়ে ৬০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
যানজটসহ যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও সাধারণ মানুষের ঈদযাত্রা ভোগান্তিমুক্ত করতে সর্বোচ্চটুকু দিয়ে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জের ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) খালেকুজ্জামান খান।