বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতির প্রতিবেশী চীনের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জাপানের নিক্বেই এশিয়ান রিভিউ বলছে।
পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনতে এর আগে ২০২০ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে উৎপাদন সরিয়ে নেওয়া কোম্পানিগুলোর দুই হাজার ৩৫০ কোটি ইয়েন বা ২২ কোটি ১০ লাখ ডলার বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় ভর্তুকির জন্য আবেদন চেয়ে সরকার যে ঘোষণা দিয়েছে, তাতে কারখানা স্থানান্তরে ভর্তুকি সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশকেও রেখেছে।
নিক্বেই এশিয়ান রিভিউয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, কারখানা স্থানান্তরের সম্ভাব্যতা যাচাই ও পরীক্ষামূলক উৎপাদনের জন্যও শিল্পোদ্যাক্তারা ভর্তুকি পেতে পারেন। মোট সহায়তার পরিমাণ ১০ কোটি ডলার ছুঁতে পারে।
বেশ কিছু পণ্য উৎপাদনে চীনের উপর নির্ভরতা কমানোর পাশাপাশি আপৎকালীন সময়ে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশের পণ্যের নির্বিঘ্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতেই জাপান সরকার এই ভর্তুকির কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
করোনাভাইরা মহামারীর শুরুতে চীনে কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বিষয়টি জাপানে আলোচনায় আসে বলে নিক্বেই এশিয়ান রিভিউ বলছে।
জুলাইতে প্রথম দফায় যে ভর্তুকির ঘোষণা এসেছিল তাতে বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশের উৎপাদন ভিয়েতনাম ও লাওসে স্থানান্তরকারী ‘হয়া’র মতো দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় কারখানা সরিয়ে নেওয়া ৩০টি কোম্পানির জন্য এক হাজার কোটি ইয়েনের বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়। আরও ৫৭টি কোম্পানি উৎপাদন জাপানে স্থানান্তরের জন্য সুবিধা পাচ্ছে।