রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে আনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক উল্লেখ করে শেখ হাসিনা মুত্যুবরণ করা ব্যক্তিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। আর আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনার জন্য দোয়া করার কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বার্ন ইন্সটিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন আমাকে মেসেজ পাঠিয়েছেন। প্রতিনিয়ত তিনি আমাকে মেসেজ পাঠাচ্ছেন। রোগীদের অবস্থা জানাচ্ছেন। অনেকজন এ পর্যন্ত মারা গেছেন। বাকি যারা তাদের অবস্থাও এতই খারাপ..। তারপরও চিকিৎসার সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আল্লাহ যদি তাদের জীবনটা দিয়ে যায়।’
ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘নামাজ পড়া অবস্থায় মসজিদে এ ধরনের বিস্ফোরণ খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ওইটুকু একটা জায়গায় ৬টা এসি লাগানো। আবার শোনা যাচ্ছে গ্যাসের লাইনের ওপরেই নাকি এই মসজিদটা নির্মাণ করা হয়েছে। সাধারণত যেখানে গ্যাসের পাইপলাইন থাকে সেখানে নির্মাণ কাজ হয় না। জানি না এটা কতটা সত্য। জানি না রাজউক থেকে এটার পারমিশন দিয়েছে কিনা। কারণ এখানে পারমিশন তো দিতে পারে না, দেওয়া উচিত নয়। কারণ এতে সব সময় আশঙ্কার ব্যাপার থাকে। সেটাই এখন তদন্ত করে দেখা হবে।’
সকলেই মসজিদে দান করেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকাল সবার পয়সাও আছে। এয়ার কমিন্ডশনও দিয়েছে। সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহটা, কতটা লোড নিতে পারবে সেই ক্যাপাসিটি ছিল কিনা, সারক্রিট ব্রেকার ছিল কিনা সব বিষয়গুলো কিন্তু দেখতে হবে। অপরিকল্পিতভাবে কিছু করতে গেলে একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মন্ত্রী পরিষদ সচিবকে বলেছি। অন্য সবার কাছে আমার নির্দেশ গেছে। বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি। এর কারণটা খুঁজে বের করা। এছাড়া সারাদেশের অন্যান্য মসজিদগুলোতে যারা অপরিকল্পিতভাবে ইচ্ছামতো এয়ারকন্ডিশন লাগাচ্ছেন বা যেখানে সেখানে একটি মসজিদ গড়ে তুলছেন, সেটা একটা স্থাপনা করার আদৌ জায়গা কিনা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়া হয়েছে কিনা, নকশা করা হয়েছে কিনা সেই বিষয়গুলো দেখা একান্ত প্রয়োজন। না হলে এ ধরনের ঘটনা-দুর্ঘটনা যেকোনও সময়ে ঘটতে পারে।’