রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠানোয় প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, রেমিট্যান্স বৃদ্ধির বিষয়টি সবার মুখে মুখে এবং সবাই এর প্রশংসা করছেন। আস্তে আস্তে আমাদের জনগণের মধ্যেও পরিবর্তন আসছে। তারা হুন্ডি বা অন্য পন্থা বাদ দিয়ে বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে। এ পথে রেমিট্যান্স পাঠালে সরকার কোনো প্রশ্ন করছে না। এটাকে ট্যাক্স ফ্রি বিনিয়োগ হিসেবে ধরা হবে।
তিনি আরও বলেন, যাদের হাত ধরে দিন দিন আমাদের রেমিট্যান্স শক্তিশালী হচ্ছে তাদের প্রতি তথা প্রবাসীদের প্রতি আমার অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।
চলতি অর্থবছরের প্রথম থেকেই রেমিট্যান্সের পরিমাণ বাড়ছে। অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ৯৪০ কোটি ১২ লাখ (৯.৪ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি।
আর ২০১৯ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে ১৬৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি। এক মাসের হিসাবে বাংলাদেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে গত ডিসেম্বরে।
এখন পর্যন্ত এক মাসে সর্বোচ্চ ১৭৪ কোটি ৮২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ; বিদায়ী বছরের মে মাসে। রেমিট্যান্সের বিপরীতে দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা এবং বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।