আগামী ৩ মে রাজধানীর আগারগাঁও সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
বৈঠকের বিষয়ে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর পাঠানো বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩ মে সকাল ১১টায় ট্রেক হোল্ডারদের মার্জিন ঋণের বিষয়ে সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য ডিএসইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান।
এর আগে বিএসইসিকে ডিএসই থেকে বলা হয়েছে, ‘ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (টিআরইসি হোল্ডারস মার্জিন) রেগুলেশনস, ২০১৩’ এর সংশোধিত আইনের বিষয়ে বিএসইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। যা গত বছর ২৬ মে সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে। সার্বিক বাজার পরিস্থিতি এবং ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) থেকে পাওয়া অনুরোধের কারণে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ট্রেক হোল্ডারস মার্জিন রেগুলেশনস, ২০১৩ আইনটি বাস্তবায়ন করতে পারেনি ডিএসই। এরমধ্যে ডিএসই আইনের ক্ষেত্রে কিছু অস্পষ্টতা এবং চ্যালেঞ্জ পর্যবেক্ষণ করেছে।
সংশোধিত আইন বাস্তবায়নের সময় বেশ কিছু বিষয় ডিএসইর নজরে এসেছে। সেগুলোর মধ্যে প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডারের ন্যূনতম শেয়ারের সংখ্যাসহ বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ না করে শেয়ারহোল্ডিং ট্রেকহোল্ডার এবং অন্যান্য ট্রেকহোল্ডারদের জন্য আলাদা নন-মার্জিন সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া অনেক আগে থেকেই ট্রেকহোল্ডার কোম্পানিগুলো বিনামূল্যে মার্জিন সীমা/নন মার্জিন সীমা ১০ কোটি টাকা উপভোগ করছে। নতুন প্রবিধান (৩এ) অনুযায়ী শেয়ারহোল্ডিং ট্রেকহোল্ডাদের ৫০ লাখ টাকা জমা দিতে হবে।
কিন্তু এই বিষয়ে পরিষ্কার ছিল না যে ট্রেকহোল্ডাররা সিকিউরিটি ডিপোজিট জমা না দিলে ফ্রি মার্জিনসীমা সম্পর্কিত বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বাজারে দীর্ঘ সময়ে নিম্নমুখী প্রবণতা বিবেচনা করে ডিবিএ বেশ কয়েকবার ডিএসইকে ন্যূনতম সিকিউরিটি ডিপোজিটের বিকল্প বা সংশোধিত আইনের আগে থাকা ফ্রি মার্জিন সুবিধা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। আলোচ্য জটিল পরিস্থিতি বিবেচনা করে একটি উপযুক্ত বিকল্প সমাধান খুঁজে বের করতে এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করার জন্য একটি সভা করার সময় বিএসইসির কাছে চেয়েছিল ডিএসই। এরই আলোকে আগামী ৩ মে কমিশনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
অর্থসংবাদ/এসএম