১৯৬৪ সালের ১৩ মে ওই নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ডিএসইতে লেনদেন স্থগিত রাখা হয়। ১৯৭৬ সালের ১৬ আগস্ট লেনদেন পুনরায় চালু হয় এবং অদ্যাবধি লেনদেন ও উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত আছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিশ্বমানের সেবা ও স্টেকহোল্ডারদের সর্বোচ্চ আস্থা নিশ্চিত করে এ অঞ্চলের নেতৃস্থানীয় এক্সচেঞ্জ এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ।
প্রতিষ্ঠানটিতে বিভিন্ন ধরনের সিকিউরিটিজ (শেয়ার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ট্রেজারি বন, ডিবেঞ্চার ও কর্পোরেট বন্ড) লেনদেন হয়ে থাকে। ডিএসইর উদ্দেশ্য হচ্ছে- ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে দক্ষতা এবং নতুন পণ্য প্রবর্তনের মাধ্যমে সেবা প্রদানের সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ, সম্পদ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখা, সমৃদ্ধ ও প্রবহমান বাজারের মাধ্যমে মূলধন জোগান নিশ্চিত করা; বিনিয়োগকারী, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, তালিকাভুক্ত কোম্পানি, কর্তৃপক্ষ ও বাজারে মধ্যস্থতাকারীর আস্থা অর্জনের লক্ষ্য প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নিশ্চিত করা।
ডিএসই লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সুবিধা প্রদানকারী হিসেবে অন্যান্য মূল্য সংযোজন পরিষেবা এবং প্ল্যাটফর্ম দিয়ে থাকে। এসবের মধ্যে আছে বাজার নজরদারি, মাসিক রিভিউ প্রকাশনা, লিস্টিং রেগুলেশন অনুযায়ী তালিকাভুক্ত কোম্পানির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ, বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ সেল, বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা তহবিল, অনলাইনে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সম্পর্কে মূল সংবেদনশীল বা অন্যান্য তথ্যের ঘোষণা, ট্রেক লাইসেন্সিং ও পরিষেবা, বিনিয়োগকারী ও বাজার মধ্যস্ততাকারীদের জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও স্বক্ষমতা তৈরি, মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের লেনদেন করার জন্য মোবাইল অ্যাপসহ রয়েছে বেশকিছু সুবিধা।