মঙ্গলবার (২ মে) বিবিএসের মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমানের দপ্তরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আইএমএফ প্রতিনিধি দল এ তিনটা বিষয়ে জানতে চান। বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদনের প্রায় তিন মাস পর ঢাকায় স্টাফ কনসালটেশন মিশন পাঠায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্ব পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছে প্রতিনিধি দল। অর্থ বিভাগের সামষ্টিক অর্থনীতি, ট্রেজারি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা এবং বাজেট উইংয়ের কর্মকর্তদের সঙ্গে ঋণের শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। এছাড়া শর্ত বাস্তবায়ন ও সংস্কারে আগামী অর্থবছরের বাজেটে কী থাকছে সেগুলোও আলোচনায় উঠে আসছে। এই ধারাবাহিকতায় আইএমএফ প্রতিনিধি দল বিবিএস-এর সঙ্গে বৈঠক করেছে।
আইএমএফ-এর সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে বিবিএস ডিজি মতিয়ার রহমান বলেন, আমরা আইএমএফ প্রতিনিধ দলের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তিনটা কাজের অগ্রগতির বিষয়ে প্রতিনিধি দল জানতে চেয়েছে, আমরাও তাদের অবগত করেছি। আমরা বলেছিলাম জিডিপি তথ্য স্বাধীনতার পর থেকে বই আকারে প্রকাশ করবো, তাই করা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতির নতুন মেথডের বিষয়ে জানতে চেয়েছে, আমরা এ বিষয়ে অবগত করেছি।
তিনি আরও বলেন, আইএমএফ মূল্যস্ফীতির নতুন মেথডে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চেয়েছে। মূল্যস্ফীতির হিসেব যেভাবে করি এ পদ্ধতিতে আর করছি না, এটার পরিবর্তন হচ্ছে। এখন সারাবিশ্বে ৯৫ শতাংশ দেশ আইএমইফ মিক্স ম্যাথডে মূল্যস্ফীতি বের করছে। খাবার ও নানা পণ্যে নতুন নতুন আইটেম নিয়ে আসছি। নতুন করে ফুড ড্রিংস নিয়ে এসেছি নতুন মূল্যস্ফীতিতে খাদ্যপণ্য ১৫৩ এর জায়গায় ২৬৩টি হবে। ৭২০ পণ্য মিক্সড ম্যাথডে স্থান পাবে। নতুন মেথডে সিপিআই প্রকাশ হবে।
বিশ্বের প্রায় সব দেশ জিডিপির হিসাব বছরে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতেই প্রকাশ করে থাকে। বাংলাদেশ করে বছরে একবার। প্রকৃত জিডিপির হিসাব কমতির দিকে থাকলে তা প্রকাশ করতে দেড় থেকে দুই বছর লাগিয়ে দেওয়ার উদাহরণও রয়েছে দেশে। আবার যে কাজ বিবিএস করার কথা, তা অনেক সময় অর্থ মন্ত্রণালয়ও করে বসে।
ত্রৈমাসিক জিডিপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তথ্য বছরে চারবার প্রকাশ করবে সরকার। তবে তা শুরু হবে ২০২৪ পঞ্জিকা বছর থেকে। তথ্য উপাত্ত নিয়ে আমরা কাজ করছি। এটা প্রস্তুতির অংশ হিসেবে। আইএমএফ এই বিষয়ে জানতে চেয়েছে।