স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘এল ন্যাসিওনাল’র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। যেখানে বলা হচ্ছে, ইতোমধ্যে দুটি লিগ থেকে রোনালদোদের বিদায় এবং আরেকটিতে শীর্ষস্থান হারিয়েছে আল-নাসর। এসব কিছুর বাইরেও আরবের সংস্কৃতি, ভাষা ইত্যাদি জটিলতায় আল-নাসরে রোনালদো খুশি নন। তাই তো তিনি সেই ক্লাবটি ছাড়তে পারেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
গত জানুয়ারিতে মোটা অঙ্কের প্রস্তাবে সৌদি আরবের ক্লাব আল-নাসরে যোগ দেন পর্তুগিজ তারকা। এর আগে তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে দ্বন্দ্বের পর ইউরোপীয় অন্য ক্লাবগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু কোনো ক্লাবের পক্ষ থেকেই সিআরসেভেন ইতিবাচক সাড়া পাননি।
এরপর শুরুতে কিছুটা হোঁচট খেলেও, ধীরে ধীরে নিজের চেনা ছন্দে ফিরতে শুরু করেন রোনালদো। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স খুব একটা খারাপ না হলেও তার দল সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। সৌদি সুপার কাপের পর কিংস কাপ থেকেও বিদায় নিয়েছে আল-নাসর। প্রো লিগ শিরোপার দৌড়েও আল-ইত্তিহাদের পেছনে পড়ে গেছে ক্লাবটি। এতে রোনালদোর সামনে আরেকটি শিরোপাহীন মৌসুম কাটানোর শঙ্কা রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে ‘এল ন্যাসিওনাল’ বলছে, আবারও ইউরোপে ফিরতে চান রোনালদো। বিশেষ করে স্পেনের শহর মাদ্রিদে। যেখানে তিনি কাটিয়েছেন নয়টি বছর। আর সত্যি সত্যি রোনালদো যদি মাদ্রিদে ফিরে আসেন, তাহলে তার জন্য একটি প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে ‘রিয়াল মাদ্রিদ’। রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ নিশ্চিত করেছেন যে, মাদ্রিদে ফিরলে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রোনালদোর কাজের অভাব হবে না। কিন্তু সেটা ফুটবলার হিসেবে নয়। কারণ সে প্রক্রিয়া অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। তাকে ক্লাবের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলেই জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
তবে এখনই খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানবেন কিনা সেটা একান্তই সিআরসেভেনের বিষয়। কেননা রিয়ালের এ প্রস্তাবে সাড়া দিতে হলে তাকে আগে আল-নাসরের সঙ্গে সম্পর্কের অবসান ঘটাতে হবে। ইতি টানতে হবে ফুটবল ক্যারিয়ারের। তবে পর্তুগিজ তারকা এখনই বুট জোড়া তুলে রাখবেন কিনা সেটাই বড় প্রশ্ন। অবশ্য ফুটবল থেকে অবসরের পর প্রিয় ক্লাব রিয়ালের হয়ে কাজ করার প্রস্তাবটি লুফে নিতেই চাইবেন রোনালদো।
ক্লাবটির ইতিহাসে অন্যতম সেরা ফুটবলার তিনি। যেখানে ৪৩৮ ম্যাচে ৪৫০ গোল করার পাশাপাশি তিনি জিতেছেন চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি, তিনটি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ, দুটি উয়েফা সুপার কাপ, দুটি লা লিগা ট্রফিসহ একাধিক শিরোপা। বার্নাব্যুতে থাকাকালেই চারবার জিতেছেন ফুটবলারদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ সম্মানজনক পুরস্কার ব্যালন ডি’অর।