অবশ্য ডলারে আমদানির পরিমাণ কমেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই আমদানি কমেছে ২ দশমিক ১ শতাংশ।
এর আগে রয়টার্সের অর্থনীতিবিদেরা এক পূর্বাভাসে বলেছিলেন, আগস্টে ডলারে চীনের রপ্তানি গত বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ১ শতাংশ বাড়বে। অন্যদিকে আমদানি বাড়বে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। তবে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি বেড়েছে রপ্তানি। আগস্টে চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত হয়েছে ৫৮ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার। যা ৫০ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার হবে বলে আশা করা হচ্ছিল। জুলাইতে বাণিজ্য উদ্বৃত্তের পরিমাণ ছিল ৬২ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার।
জুন থেকে ঘুরে দাঁড়ায় চীনের রপ্তানি। গত জুনে এক বছর আগের তুলনায় চীনের রপ্তানি বাড়ে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। যদিও বিশ্লেষকেরা আশা করেছিলেন দেড় শতাংশ কমবে। ওই মাসেই দেশটির আমদানি ১০ শতাংশ কমবে—বিশ্লেষকদের এমন প্রত্যাশার বিপরীতে ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে যায়। পরে জুলাইয়ে দেশটির রপ্তানি গত বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। তবে আমদানি কমেছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ।
বছরের প্রথম প্রান্তিকে রেকর্ড সংকোচনের পর দ্বিতীয় প্রান্তিকে এসে হঠাৎ করেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে চীনের অর্থনীতি। এপ্রিল থেকে জুন—এই তিন মাসে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ২ শতাংশ, যা প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে। প্রথম প্রান্তিকে অর্থনীতি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ সংকুচিত হয়েছিল, যা ছিল ১৯৯২ সালের পর সবচেয়ে খারাপ ত্রৈমাসিক অবস্থা ছিল। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, বছরের প্রথম ছয় মাসে গত বছরের তুলনায় অর্থনীতি ১ দশমিক ৬ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে।