এ সময় সাংবাদিকদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন বাফুফের সহসভাপতি কাজী নাবিল আহমেদও।
বাফুফে ভবনে এক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন কাজী সালাউদ্দিন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বাফুফের সহ সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ। সাধারণত সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে সাংবাদিকরা তাদের হাতে থাকা রেকর্ডার যন্ত্রগুলো চালু করে দেন। যে কারণে বাফুফে কর্তাদের কথাবার্তা ধরা পড়ে।
সালাউদ্দিন তখন বলছিলেন, জার্নালিস্টরা এখানে ঢুকতে গেলে তাদের আমার এখানে ফটো দিতে হবে তাদের বাপ-মার। আরেকটা কন্ডিশন হলো তার বাপের ফটো পাঠাবে, জুতা পরা। ঠিক আছে (হাসি)? এটা হতে হবে মেন্ডেটরি। বাপের জুতা পরা ছবি থাকতে হবে।
সালাউদ্দিনের কথা শেষ হতেই কাজী নাবিল বলেন, আমার রিকোয়েস্ট আসলে আরেকটা। কে আন্ডারওয়্যার পরে বড় হয়েছে, আর কে হয়নি সেটাও দেখা দরকার। এমন কথাবার্তার অডিও মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এরপর ভিডিও বার্তায় কাজী সালাউদ্দিন ক্ষমা চাইলেও, কাজী নাবিল আহমেদ চাননি।
আর্থিক অনিয়মে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। পুরো বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য বাফুফে থেকে আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাংবাদিকদের আন্ডারওয়্যার দেখতে চাওয়া কাজী নাবিল আহমেদকে করা হয়েছে তদন্ত কমিটির প্রধান।
এ বিষয়ে কাজী সালাউদ্দিন বলেন, তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হলেন কাজী নাবিল আহমেদ। তিনি দুই-তিন দিন পর কাজ শুরু করবেন। উনি বলেছেন তদন্ত করতে ৩০ দিন লাগবে।
৩০ দিন পর আমাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন। ফিফা যে তদন্ত করেছে সেখানে আর কী কী আছে, কোনো জায়গায় কেউ ভুল করেছে কি না, তা জানতে আমাদের আরো ৩০ দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। যখন তিনি তদন্ত রিপোর্ট দেবেন, তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তদন্ত কমিটির স্বাধীনতা আছে।