বুধবার (৩ মে) বিকেলে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
দুই দিনের সফরে মঙ্গলবার (২ মে) কক্সবাজার আসেন পুলিশ প্রধান। ওইদিন রাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি সভা করেন।
বুধবার তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং ক্যাম্প সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আজ তার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
সম্প্রতি কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক উপকূলে ট্রলার থেকে ১০ মরদেহ উদ্ধারের ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, যেকোনো ভাবেই হোক না কেন ১০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এই ঘটনা শোনার পর পরই আমরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছি। এখানে সিআইডি ও পিআইবি টিম পাঠানো হয়েছে। তাদের সঙ্গে র্যাবও কাজ করেছে। তারা এখানে এসে খোঁজ খবর নিয়ে ঘটনার মূল কারণ বের করার চেষ্টা করেছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। কেউ কেউ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। এ নিয়ে আমরা আরও কাজ করে যাচ্ছি। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের তথ্য সংগ্রহ করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।
তিনি বলেন, অপহরণ কিংবা যেকোনো ধরণের অপরাধ সংগঠিত হলে আমাদের জাতীয় জরুরি পরিষেবা নাম্বার ৯৯৯-এ যোগাযোগ করে সহায়তা চাওয়ার জন্য এলাকার সবাইকে অনুরোধ করবো। এই পরিষেবায় আমাদের টিম দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে।
কিছুদিন আগেও ঢাকার রাজবাড়িতে একটা ডাকাতির ঘটনায় ৯৯৯ এ কল দিয়ে সহায়তা পেয়েছে। এ ধরণের ঘটনা ঘটলে আপনারা দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের তথ্য দিলে যেকেউ পুলিশের সহায়তা পাবে।
এসময় জলদস্যুদের ব্যাপারে আইজিপি বলেন, আত্মসর্মপন করা জলদস্যুদের ব্যাপারে প্রতিনিয়ত খবর রাখছে পুলিশ। তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আবারো কোনো অপরাধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে খবর রাখছি। তারা ভালো হতে চেয়েছে বলে আমরা তাদের সুযোগ দিয়েছি। কিন্তু আত্মসমর্পনের কথা বলে তারা পুনরায় অপরাধ সংগঠিত করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অর্থসংবাদ/তাফহীমুল/এসএম