গতকাল বুধবার (৩ মে) জিএসকের আরেক্সভি নামের টিকার অনুমোদন দেয় ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। এ ধরনের আরো কিছু টিকা বর্তমানে কর্তৃপক্ষের সম্মতির অপেক্ষায় রয়েছে।
সাধারণত শরতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে। নতুন পদক্ষেপের মাধ্যমে সামনের মৌসুমে ৬০ বা বেশি বয়সীরা এই টিকা নিতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অবশ্য এর আগে জুনে প্রতিষেধকটি নিয়ে আলোচনা করবেন সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) উপদেষ্টারা। তারপরই আসবে সাধারণ মানুষের নাগালে।
ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইনফেকশাস ডিজিজেসের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. উইলিয়াম শ্যাফনার জানান, বয়স্ক ব্যক্তিদের গুরুতর আরএসভি রোগ থেকে রক্ষা করার জন্য এটি প্রথম কোনো দুর্দান্ত পদক্ষেপ। এর ধারাবাহিকতায় অন্য বয়সীদের জন্যও তারা কাজ করতে যাচ্ছেন।
উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ শিশুরা আরএসভি মৌসুমে প্রতিরক্ষামূলক মাসিক ডোজ নিলেও এখন পর্যন্ত সরাসরি কোনো ভ্যাকসিন নেই। ইউরোপীয় নিয়ন্ত্রকরাও এ ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষামূলক ডোজের বিকল্প অনুমোদন করেছে।
সানোফি ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক ডোজের ওষুধকেও বিবেচনায় রেখেছে এফডিএ।
এক সময় গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লেইন নামে পরিচিত ছিল জেএসকে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিদ্বন্দ্বী ফাইজারের একটি টিকা এফডিএর বিবেচনায় রয়েছে। তারা গর্ভবতীদের টিকা দেয়ার অনুমোদন চাইছে। এর মধ্যে বাচ্চারা কিছু পরিমাণ সুরক্ষা নিয়ে জন্মগ্রহণ করবে।
সিডিসি অনুসারে, এটি প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে ৫ বছরের কম বয়সী ১০০ থেকে ৩০০ শিশু আরএসভিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ৬৫ বছরের বয়সীদের ক্ষেত্রে এ হার ছয় হাজার থেকে ১০ হাজার। হাসপাতালে ভর্তি হন ৬০ হাজার থেকে এক লাখ ২০ হাজার প্রবীণ।
গুরুতর পর্যায়ে এই ভাইরাস ব্রঙ্কিওলাইটিস সৃষ্টি করতে পারে। এর কারণে ফুসফুসে প্রদাহ হয় ও শ্বাস কষ্টে ভোগেন রোগী।
শিশুরা আরএসভিতে আক্রান্ত হলে নাক বন্ধ বা সর্দি নিয়ে লক্ষণ শুরু হয়। সঙ্গে শুকনো কাশি, জ্বর ও কখনো কখনো শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। বেশির ভাগ শিশুর জন্য রোগীটি গুরুতর নয়। সাধারণ প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন জাতীয় ওষুধের মাধ্যমে বাড়িতে চিকিৎসা নেয়া যায়।
অর্থসংবাদ/এসএম