গত ২৫ এপ্রিল থেকে আজ ৭ মে পর্যন্ত সফর শেষে এশিয়া ও প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রাহুল আনন্দ বাংলাদেশের সামনে থাকা চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘চ্যালেঞ্জিং অর্থনৈতিক পটভূমিতে বাংলাদেশ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের একটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। ক্রমাগত মূল্যস্ফীতির চাপ, বৈশ্বিক আর্থিক অবস্থার উচ্চতর অস্থিরতা এবং প্রধান অগ্রসর বাণিজ্য অংশীদারদের মন্দার কারণে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও টাকার ওপর চাপ অব্যাহত রয়েছে।’
রাহুল আনন্দ বলেন, ‘এ সফরে আমরা সাম্প্রতিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও আর্থিক খাতের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা তহবিল-সমর্থিত প্রোগ্রামের অধীনে মূল প্রতিশ্রুতি পূরণের দিকে অগ্রগতিও পর্যালোচনা করেছি। এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ), এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ), রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) ব্যবস্থার প্রথম পর্যালোচনায় এটি আনুষ্ঠানিকভাবে মূল্যায়ন করা হবে, যা এই বছরের শেষের দিকে করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
আইএমএফ দলটি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, অর্থ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সরকারি ও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। রাহুল জানান, বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, দ্বিপাক্ষিক দাতা ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গেও দেখা করেছেন।
রাহুল আনন্দ বলেন, ‘আমরা আন্তরিক আলোচনা ও তাদের উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা বাংলাদেশ ও এর জনগণের সমর্থনে আমাদের সম্পৃক্ততা অব্যাহত রাখার জন্য উন্মুখ।’