আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনার পর রোববার (৭ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজেমি সেন্টারে এ তথ্য জানিয়েছেন ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।
তিনি বলেন, বর্তমানে ডলারের একাধিক বিনিময় হার আছে। এগুলোর মধ্যে ব্যবধান দুই শতাংশের মধ্যে এলেই বলা যাবে যে মুদ্রার একক বিনিময় হার। এটি প্রায় অর্জিত হয়েছে। তবে আরও বেশি সীমার মধ্যে আনার চেষ্টা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশ সফর করছেন। তিনি যেসব দেশে গেছেন সেসব দেশে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন। এ সফর আমাদের দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক। তার সফরের পর রিজার্ভ আরও বাড়বে। আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ এখন রিজার্ভ ধরে রাখা। আমাদের পেমেন্ট আছে, আকুর দায় পরিশোধ হয়েছে। এসব কারণে রিজার্ভ কমছে। এর মাঝে আরও অর্থ সমন্বয় (রপ্তানি আয়, রিজার্ভ) হবে। রিজার্ভ কমছে এটা ঠিক, আবার বাড়বে।
মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের অনুমোদন করা ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির বিষয়ে এখনও আলোচনা হয়নি। আগামী অক্টোবরে সংস্থার প্রতিনিধিরা আরও একবার সফর করবে। তখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। সংস্থাটি যেসব শর্ত দিয়েছে তার বেশিরভাগ পূরণ হয়েছে। তারা এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারপরেও আমাদের জন্য ব্যাপক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তার নিজস্ব পলিসি নিয়ে এগোচ্ছে। আবার আগামী অক্টোবর পর্যন্ত সময় আছে। আমরা এসময়ের মধ্যে সব করতে পারবো।
আইএমএফের স্টাফ পর্যায়ের এক প্রতিনিধিদল গত ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশে আসেন। প্রতিনিধিদলের সফর রোববার শেষ হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এসএম