তবে এ ঋণ দেয়া হবে শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উন্নত কিছু এলাকায়। ঢাকার গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারা, উত্তরা, লালমাটিয়া এবং ডিওএইচএস (মহাখালী, বারিধারা, বনানী, মিরপুর) এলাকার সরকারি প্লটের জন্য প্রযোজ্য হবে। এছাড়াও চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, চান্দগাঁও, কর্ণেলহাট, বাকলিয়া, কল্পলোক আবাসিক এলাকার সরকারি প্লট এবং খুলশী আবাসিক এলাকার জন্যও প্রযোজ্য হবে।
নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বাড়ি নির্মাণে একক ব্যক্তি এখন দুই কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। আর গ্রুপ করে ঋণ নিলে প্রতিজনে পাবেন এক কোটি ২০ লাখ টাকা করে।
ফ্ল্যাট কেনার জন্যও গ্রাহকেরা এক কোটি ২০ লাখ টাকা করে ঋণ পাবেন।
বিএইচবিএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেবাশীষ চক্রবর্তী বলেন, ‘ঢাক ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের যেসব এলাকায় সরকারি প্লট আছে, সে এলাকায় বাড়ি নির্মাণের জন্য দুই কোটি পর্যন্ত এবং ফ্ল্যাট কেনার জন্য এক কোটি ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া হবে। যেসব এলাকায় ঋণ দিলে আমাদের কিস্তিগুলো আদায় হবে সেসব এলাকাতেই এসব ঋণ দিচ্ছি। এসব ঋণের জন্য ৯ শতাংশ সুদ নির্ধারণ করা হয়েছে।’
বর্তমানে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) তিন কাঠা ও পাঁচ কাঠা জমিতে বিভিন্ন শর্তে ১০তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণের অনুমতি দিচ্ছে। বিএইচবিএফসি ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় ৭ হাজার ৯০০ থেকে ৮ হাজার বর্গফুট পর্যন্ত বহুতল বাড়ি নির্মাণে এক কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়ে আসছিল। কিন্তু এ ঋণ নিয়ে গ্রাহকেরা চাহিদা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ করতে পারছিলেন না। এ পরিপ্রেক্ষিতে ঋণের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।