সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও মাইক্রো ফাইন্যান্স অপরচুনিটিজের (এমএফও) যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। জরিপের তথ্যানুযায়ী, করোনাকালে খরচ কমাতে ৪ শতাংশ পোশাকশ্রমিক কম খরচের বাসায় উঠেছেন।
বাংলাদেশের পোশাকশ্রমিকদের জীবন ও জীবিকার ওপর করোনাভাইরাসের প্রভাব মূল্যায়ন করতে ১৫ সপ্তাহ ধরে সানেম ও এমএফও জরিপ করেছে। এতে অংশ নেওয়া ১ হাজার ৩৬৭ জন পোশাকশ্রমিক চট্টগ্রাম, ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সাভারের বিভিন্ন কারখানায় কর্মরত। প্রতি সপ্তাহে নতুন প্রশ্ন যোগ হয়। সর্বশেষ জরিপটিতে অংশ নিয়েছেন ১ হাজার ২৬৯ শ্রমিক।
জরিপে উঠে এসেছে, করোনার আগে ৫১ শতাংশ পোশাকশ্রমিক বাড়িতে টাকা পাঠাতেন। তার মধ্যে করোনার পরে ১৮ শতাংশ শ্রমিক টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন। ৫৮ শতাংশ আগের চেয়ে কম অর্থ পাঠান। তবে ২২ শতাংশ শ্রমিকের বাড়িতে টাকা পাঠানোর ওপর করোনা কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। ২ শতাংশ শ্রমিক আগের চেয়ে বেশি অর্থ পাঠান ।
জরিপে অংশ নেওয়া ৮৯ শতাংশ শ্রমিক অন্তত একবার হলেও অভ্যন্তরীণ অভিবাসন করেছেন। মানে চাকরি বা অন্য কোনো কারণে জন্মস্থান থেকে অন্যত্র গিয়েছেন। অবশ্য ৮১ শতাংশ শ্রমিকই চাকরির জন্য অভিবাসী হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৪ শতাংশ দুইবার এবং ১২ শতাংশ তিন বা তার বেশি অভিবাসী হয়েছেন। অভিবাসনের কারণ হিসেবে শ্রমিকদের ৩০ শতাংশ বাড়িতে চাকরির অভাব, ২২ শতাংশ দারিদ্র্য, ১৬ শতাংশ স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে, ৮ শতাংশ বেশি আয়ের জন্য, ৬ শতাংশ বিয়ে করার কারণে উল্লেখ করেন।