খোলা চিনি ১২০ টাকা করার প্রস্তাব সরকারের, বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়

খোলা চিনি ১২০ টাকা করার প্রস্তাব সরকারের, বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়
সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন চিনির নতুন দাম নির্ধারণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। আগের নির্ধারিত দাম কেজিপ্রতি ১০৪ টাকা থেকে ১৬ টাকা বাড়িয়ে খোলা চিনির দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ১২০ টাকা। একইভাবে ১০৯ টাকার প্যাকেটজাত চিনির দাম বাড়িয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে প্রতি কেজি ১২৫ টাকা।

এদিকে ঢাকার কারওয়ান বাজার ও মগবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। পাড়া-মহল্লার দোকানে কোথাও কোথাও এর চেয়ে কিছুটা বেশি দামেও চিনি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এখন প্যাকেটজাত চিনি একেবারেই পাওয়া যাচ্ছে না। সুপারশপে কিছু প্যাকেটজাত চিনি পাওয়া গেলেও তা সীমিত। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের বাজারদরের হিসাবে, ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।

ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, এক কেজি পরিশোধিত খোলা চিনির প্রস্তাবিত মিলগেট মূল্য ১১৫ টাকা এবং পরিবেশক মূল্য হবে ১১৭ টাকা। পরিশোধিত প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১১৯ টাকা আর পরিবেশক পর্যায়ে যার দাম হবে কেজিতে ১২১ টাকা। কমিশন এ দাম প্রস্তাব করেছে ডলারের বিনিময়মূল্য ১১১ টাকা হিসেব করে।

আন্তর্জাতিক বাজারদরের বিষয় উল্লেখ করে ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন বলছে, ২০২২ সালের মে মাসের শুরুতে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন অপরিশোধিত চিনি বেচাকেনা হয়েছে ৪২০ ডলারে। চলতি মাসের শুরুতে অপরিশোধিত সেই চিনির দাম হয়েছে ৫৮০ ডলার, যা গত বছরের চেয়ে টনপ্রতি ১৬০ ডলারের মতো বেশি। গত বছর ডলারের বিনিময়মূল্য ছিল ৯০ টাকা। এবার সেটা ১১০ থেকে ১১১ টাকা। তবে এই সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে পরিবহন ব্যয় বাড়েনি বলে জানিয়েছে কমিশন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও দেশবন্ধু গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম রহমান বলেন, ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের নতুন দামের প্রস্তাবের বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে পারেননি তিনি।

ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেড়েছে এবং দেশে ডলারের বিনিময়মূল্য ১১৫ টাকা উল্লেখ করে চিনির দাম বাড়ানোর জন্য গত ১৭ এপ্রিল কমিশনে চিঠি দেয় বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। সেখানে প্রতি কেজি পরিশোধিত খোলা চিনির দাম ১২৫ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনির দাম ১৩৫ টাকা প্রস্তাব করে মিলমালিকদের এই সংগঠন।

গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে সরকার বাজারে চিনির দাম নির্ধারণ করে দিতে শুরু করে। এর মধ্যে পাঁচ দফায় চিনির দাম বেঁধে দেওয়া হলেও একবারও চিনির সরকারি মূল্য কার্যকর হয়নি। সবশেষে সরকার গত ৬ এপ্রিল প্রতি কেজি চিনির দাম তিন টাকা কমায়। এতে সরকার ঘোষিত পরিশোধিত খোলা চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ছিল কেজিতে ১০৪ টাকা আর পরিশোধিত প্যাকেটজাত চিনির দাম প্রতি কেজি ১০৯ টাকা।

এখন উভয় পদের চিনিতে একলাফে সরকার নির্ধারিত দাম ১৬ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলো।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

তিন দেশ থেকে ২ লাখ ১০ হাজার টন সার কিনবে সরকার
মন্দিরে দায়িত্বরত পুলিশের গুলি চুরি, ওসিসহ ৮ জন প্রত্যাহার
৫ আগস্টের পর চাঁদাবাজি বেড়েছে: অর্থ উপদেষ্টা
দুর্গাপূজার ছুটিতে শুল্ক স্টেশনে চালু থাকবে আমদানি-রপ্তানি
আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৫ শতাংশ: এডিবি
স্মারক রৌপ্য মুদ্রার দাম বাড়লো
ফের বাড়লো স্বর্ণের দাম, ভরি ১ লাখ ৯৫ হাজার
তিন প্রকল্পে ৩ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা দেবে এডিবি
দেশের সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ মঙ্গলবার
রোহিঙ্গাদের জন্য ৩.৪ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে জাপান