এর বিপরীতে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মতো অন্য সদস্য দেশগুলো যে অর্থ পাবে, তা একেবারে নগণ্য।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী চার বছর আইসিসির ঘরে যে রাজস্ব ঢুকবে, সেটা বিভিন্ন দেশের মধ্যে কিভাবে ভাগ করে দেয়া হবে, তা নিয়ে একটি মডেল তৈরি করা হয়েছে। প্রস্তাবিত মডেল অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ান্ত্রক সংস্থা যে অর্থ উপার্জন করবে, সেখান থেকে বার্ষিক ২৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাবে বিসিসিআই, যা শতাংশের বিচারে ৩৮.৫। অর্থাৎ বাকি ক্রিকেট বিশ্বকে আয়ের মাত্র ৬১.৫ ভাগ দেবে আইসিসি। যে তালিকায় আছে ১০টি পূর্ণ সদস্য দেশ (ভারত ছাড়া ১০টি পূর্ণ সদস্য দেশ) এবং অ্যাসোসিয়েট দেশগুলো।
ভারতের পরে মুনাফা প্রাপ্তির নিরিখে কোন দেশ কত নম্বরে আছে?
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, আয়ের ভাগ পাওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে আছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। প্রস্তাবিত মডেল অনুযায়ী, বছরে আইসিসির আয়ের ৪১.৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাবে বেন স্টোকসদের বোর্ড। যা শতাংশের বিচারে ৬.৮৯। তৃতীয় স্থানে থাকবে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড। বছরে আয়ের ৩৭.৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবে আইসিসি (৬.২৫ ভাগ)।
কোন বোর্ড আইসিসির লাভের কত টাকা পেতে পারে?
আইসিসির প্রস্তাবিত মডেলে যদি চূড়ান্ত ছাড়পত্র পড়ে, তাহলে শুধুমাত্র তিনটি দেশের বোর্ডের বরাদ্দ বাড়তে চলেছে, ভারত, আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান। বাকি সব বোর্ডের বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে আইসিসি।
১) ভারত : ২৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩৮.৫ ভাগ)।
২) ইংল্যান্ড : ৪১.৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৬.৮৯ ভাগ)।
৩) অস্ট্রেলিয়া : ৩৭.৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৬.২৫ ভাগ)।
৪) পাকিস্তান : ৩৪.৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৫.৭৫ ভাগ)।
৫) নিউজিল্যান্ড : ২৮.৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৪.৭৩ ভাগ)।
৬) ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ২৭.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৪.৫৮ ভাগ)।
৭) শ্রীলঙ্কা : ২৭.১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৪.৫২ ভাগ)।
৮) বাংলাদেশ : ২৬.৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৪.৪৬ ভাগ)।
৯) আয়ারল্যান্ড : ১৮.০৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩.০১ ভাগ)।
১০) জিম্বাবোয়ে : ১৭.৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (২.৯৪ ভাগ)।
১১) আফগানিস্তান : ১৬.৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (২.৮ ভাগ)।
১২) অ্যাসোসিয়েট দেশগুলো : ৬৭.১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১১.১৯ ভাগ)।