তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে বিদেশিদের পরামর্শের দরকার নেই। সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
আগামী শুক্র ও শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আয়োজন করছে এ কনফারেন্স। ষষ্ঠবারের মতো সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে। শুক্রবার সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মন্ত্রী। সম্মেলনের এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্থিতিশীল ভবিষ্যতের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি এবং অংশীদারত্ব’।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম এবং ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর মাশফি বিনতে শামস।
সম্মেলনে মরিশাসের প্রেসিডেন্ট, মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রায় ২৫টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিসহ আরও দেড় শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন। সম্মেলনে ভারত, নেপাল, ভুটান ও সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যোগ দেবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি যে এই সম্মেলনের মাধ্যমে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় অনেক সুপারিশ ও মতামত উঠে আসবে, যা এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশে কর্মসংস্থান, জলবায়ু, জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধিসহ অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। নির্বাচনও একটি চ্যালেঞ্জ। ইউরোপে কোনো দেশে ৩০ শতাংশের বেশি লোক ভোট দেয় না। আর আমেরিকাতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ছাড়া ২৬ শতাংশের বেশি লোক ভোট দিয়েছে এমন নজির খুব কম। কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচনে ৭২ শতাংশের বেশি লোক ভোট দেয়।
আমাদের দেশে যারা ভোট দিতে চায়, তারা ভোট দিতে পারে। আমাদের দল ভোট যার যার, যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার অঙ্গীকার করেছে, দেশে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন করবে। এটি করতে যা যা দরকার তা আমরা করেছি। তবে স্বচ্ছ, সুন্দর নির্বাচনের জন্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি সব দলের কমিটমেন্ট থাকতে হবে যে, আমি একটা স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করব। এটা সবাই নিশ্চিত করতে পারলেই একটি স্বচ্ছ, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব।
বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের সূতিকাগার উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা ৩০ লাখ লোক প্রাণ দিয়েছি। অন্যদের কাছ থেকে আমাদের শেখার কিছু নেই। বরং অন্যরা আমাদের থেকে শিক্ষা নেবে। আওয়ামী লীগ সবসময় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে মন্তব্য করে আবদুল মোমেন বলেন, গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে আমাদের বলিষ্ঠ প্রচেষ্টা রয়েছে। আর যদি কেউ অন্য দেশের কথা বলে, তাহলে তাদের ওই দেশের নাগরিকত্ব দিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন মন্ত্রী।