সারাদেশে মোটর যানবাহন আছে ৫৩ লাখের মত। এর মধ্যে ঢাকায় আছে ৩০ লাখের মত। রাজধানীসহ বড় শহরগুলোর রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ির দাপট বেড়েই চলেছে। ফলে একদিকে অসহনীয় যানজট আর অন্যদিকে গাড়ির তাপ বাড়াচ্ছে শহরের উত্তাপ। আবার গাড়িতে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার হওয়ায় বাড়ছে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ।
এ অবস্থায় ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে ও ধনীদের থেকে বাড়তি রাজস্ব আদায়ের উপায় হিসেবে কার্বন কর চালু করতে চায় এনবিআর। এতে সায় দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলে এ প্রস্তাব সংসদে উঠবে আসছে বাজেট অধিবেশনে।
বারভিডা সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম জানান, ধীরে ধীরে শিল্প কারখানাকেও কার্বন করের আওতায় আনার লক্ষ্য রয়েছে।
তবে গাড়ি আমদানিকারকরা বলছেন, পরিবশবান্ধব গাড়ি আনতে উৎসাহিত করা উচিত।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির গবেষক বারিশ হাসান চৌধুরী বলেছেন, একটি দীর্ঘমেয়াদি ও গ্রহণযোগ্য রুপরেখা তৈরি করে কার্বন কর চালু করা যায়। যাতে গাড়ির পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণকারী শিল্পকারখানাকেও আওতায় আনার সময়সীমা থাকবে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমাতে গণপরিবহন ব্যবস্থার আধুনিকায়নের দাবি পরিবেশবাদীদের।
বিশ্ব ব্যাংকের হিসাবে, পরিবেশ দূষণ কমাতে প্রায় অর্ধশত দেশে নানা ধরনের কার্বন কর চালু আছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশি পরিমাণে কার্বন নিঃসরণকারী অনেক দেশ এখনও এ কর চালু করেনি।
অর্থসংবাদ/এসএম