শনিবার (১৩ মে) গুলশান-২ এ নগর ভবনের প্রধান কার্যালয়ের হল রুমে মেয়র হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের তিন বছর পূর্তিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, বিদেশ থেকে একটি সফটওয়্যার নিয়ে এসেছি। লেন ভিত্তিক কাজ পরিচালনার জন্য এ সফটওয়্যার কাজ করবে। যদি কেউ লেন অমান্য করে অথবা অতিরিক্ত গতিতে যদি গাড়ি চালায় তাহলে তার গাড়ির নম্বর পর্যালোচনা করে তার বাড়ির ঠিকানায় জরিমানার স্লিপ চলে যাবে। উন্নত দেশের মতো এমন সিস্টেম উত্তর সিটিতে দ্রুতই চালু হবে।
তিনি বলেন, স্মার্ট ঢাকা গড়তে কাজ করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা হবে স্মার্ট সিটি। স্মার্ট ঢাকা গড়তে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ডিএনসিসিতে অনলাইনে সেবা প্রদানের পরিধি বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের পাইলটিং সম্পন্ন করেছি। জুলাইয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে তিন বছর আগে দায়িত্ব গ্রহণ করি। আমি জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ। নগরের সেবক হিসেবে চেষ্টা করে যাচ্ছি জনগণের জন্য কাজ করতে। তিন বছর আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলো কাজ করেছি, আবার কিছু কাজ করা সম্ভব হয়নি। করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য অনেকটা বাধাগ্রস্ত হতে হয়েছে। তবে ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সব প্রতিশ্রুতি রক্ষা করব।
মিরপুর ১০ নম্বর শেওড়াপাড়া ও কাজীপাড়া এলাকায় ফুটপাতে চাঁদাবাজি হচ্ছে এ বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে আতিকুল ইসলাম বলেন, চাঁদাবাজি তথ্য পেলে সে যেই হোক তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। কোনো চাঁদাবাজি চলবে না। আমি ইতোমধ্যে ডিএমপির সঙ্গে আলাপ করেছি। কারো নামে যদি কোনো অভিযোগের প্রমাণ পাই সে যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজাসহ কাউন্সিলরগণ ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।