শনিবার (১৩ মে) রাতে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে এয়ারলাইন্সটি এসব তথ্য জানায়। তারা জানান, ঢাকা থেকে কায়রো যেতে সময় লাগবে ৭ ঘণ্টা। ইজিপ্ট এয়ারের বহরে রয়েছে ২৪টি এয়ারবাস ও ৪১টি বোয়িং উড়োজাহাজ। এয়ারলাইন্সটি ইজিপ্টের ১৩ শহরে ও আন্তর্জাতিক ৬৫ শহরে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ১৩টি দেশে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
বাংলাদেশে ইজিপ্ট এয়ারের জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) আলো ঢাকা এভিয়েশন। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আলী সামী বলেন, ঢাকা ও কায়রোর রুটে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট পরিচালিত হবে। মিশরে বাংলাদেশিরা ব্যবসা, কাজ ও শিক্ষার জন্য ভ্রমণ করেন। তারা এখন সরাসরি বাংলাদেশ আসতে পারবেন। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও আমেরিকা থেকেও ঢাকায় আসার সুযোগ বাড়বে।
অনুষ্ঠানে ইজিপ্ট এয়ারের পরিচালক (হলিডে) রোলা হেশাম বলেন, ভ্রমণের জন্য মিশর জনপ্রিয় গন্তব্য। আর ইজিপ্ট এয়ার মিশরের ভ্রমণের নানা রকম অফার দিচ্ছে। ইউরোপ, আমেরিকায় যাওয়া বা আসার ক্ষেত্রে যে কেউ মিশরে ভ্রমণ করতে পারবেন কম খরচে।
ইজিপ্ট এয়ারের চেয়ারম্যান ইহাব ই তাহতাভী বলেন, মিসরের রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন্স ইজিপ্ট এয়ারের মাধ্যমে মিশরীয় আতিথেয়তা উপভোগ করতেন পারবেন বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশে ভ্রমণের জন্যও আমরা মিশরের পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে চেষ্টা করবো। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করা হলেও ভবিষ্যতে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে।
অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, বাংলাদেশে এভিয়েশন হাব হতে যে উদ্যোগ নিচ্ছে, তার প্রতিফলন ঘটছে। ইজিপ্ট এয়ার ফ্লাইট শুরু করছে। আরও নতুন নতুন এয়ারলাইন্স ফ্লাইট চালাতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। ফ্লাইট শুরুর ফলে মিশরের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও বাড়বে।