আর এই দাবি করছেন চীনের গবেষকরা।
‘চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ মেডিকেল সায়েন্স’ এবং ‘পিকিং ইউনিয়ন মেডিকেল কলেজ’য়ের এপিডেমিওলজি’ বিভাগের অধ্যাপক ও এই গবেষণার প্রধান গবেষক ডা. জিনইয়ান ওয়াং দাবী করেন যে, “যারা নিয়মিত চা পান করেন তাদের হৃদসংক্রান্ত রোগের পাশপাশি মৃত্যুর কারণ হতে পারে এরকম রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়।”
দ্যা ইউরোপিয়ান জার্নাল অব প্রিভেন্টিভ কার্ডিওলজি’তে প্রকাশিত এই গবেষণায় থেকে চা পানের উপকারিতা সম্পর্কে ওয়াং আরও বলেন, “যারা গ্রিন টি পান করেন এবং দীর্ঘদিন ধরে চা পানে অভ্যস্ত তারা এর উপকারিতা লাভ করেন বেশি।”
১ লাখ ৯শ’ ২ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই গবেষণা করা হয়। এরা সকলেই হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক অথবা ক্যান্সারের রোগী ছিলেন। অংশগ্রহণকারীদের দুই দলে বিভক্ত করা হয়- চা পানে অভ্যস্ত (সপ্তাহে অন্তত তিন কাপ বা তার বেশি) এবং কখনই করেন না বা মাঝে মাঝে চা পান করেন (সপ্তাহে তিন কাপের কম) এমন।
গবেষণায় যারা চা পান করতেন না তাদের তুলনায় চা পানে অভ্যস্ত ব্যক্তিরা যারা নিয়মিত চা পান করতেন তাদের মারাত্মক হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমেছে মধ্যে ৫৬ শতাংশ। সাধারণ হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে ৩৯ শতাংশ। আর মৃত্যু ঘটাতে পারে এমন রোগের সম্ভাবনা ২৯ শতাংশ কমে যায়।
‘ফ্লাভানয়েডস’য়ের সবচেয়ে ভালো উৎস হল চা, বিশেষ করে গ্রিন টি। এছাড়াও পাওয়া যায় ‘এপিক্যাটেচিন’, ‘ক্যাটেচিন’সহ বিভিন্ন ধরনের বায়োঅ্যাক্টিভ যৌগ। যা ‘অক্সেডেটিভ স্ট্রেস’, প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি ধমনীর ভেতরে উপরিভাগের কোষের স্তর এবং হৃদপিণ্ডের পেশি যে কোষ দিয়ে গঠিত সেসবের উন্নতি সাধনে ভূমিকা রাখে।
যারা গ্রিন টি পান করেন তাদের হৃদরোগ, স্ট্রোক ও মৃত্যু ঘটাতে পারে এমন অন্যান্য রোগের ঝুঁকি হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রায় ২৫ শতাংশ। যদিও এমন কোনো উপকারিতা কালো বা অন্যান্য চায়ের ক্ষেত্রে লক্ষ করা যায়নি।