মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত এ সভায় বিনিয়োগকারীরা বিগত বছরের (২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত) ডিরেক্টরস রিপোর্ট, অডিটরস রিপোর্ট ও অডিটেড অ্যাকাউন্টস অনুমোদন করেছে এবং এতে মোট ৩০০ শতাংশ চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয় (২৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অর্থাৎ ১০ টাকার প্রতি শেয়ারে ২৪.০০ টাকা এবং বোনাস লভ্যাংশ ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ১: ০.৬০ বোনাস শেয়ার)।
গত বছর ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ারের আয় কমেছে ১.১ শতাংশ, যেখানে মোট মুনাফা (গ্রোস প্রফিট) বেড়েছে ১.৪ শতাংশ। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুসরণ করে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই এজিএম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কোম্পানির চেয়ারম্যান মাসুদ খানের সভাপতিত্বতে সভায় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর কে এস এম মিনহাজ। অন্য ডিরেক্টরদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন জাভেদ আখতার, জিনিয়া তানজিনা হক, এস ও এম রাশেদুল কাইউম, মো. আবুল হোসাইন, মোহসিন উদ্দিন আহমেদ, রেজাউল হক চৌধুরী।
এছাড়া কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ নাহারুল ইসলাম মোল্লা, কোম্পানির স্ট্যাচুটরি অডিটর ও ইনডিপেনডেন্ট স্ক্রুটিনাইজারসহ বেশ কয়েকজন শেয়ারহোল্ডারও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সভায় অংশগ্রহণ করেন।
এসময় ইউনিলিভারের চেয়ারম্যান মাসুদ খান বলেন, “বিভিন্ন উদ্ভাবনী বিপণন চ্যানেল তৈরি, সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ ও মূল্য নির্ধারণে কার্যকর নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পণ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা সহ সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতিকে আবর্তিত করে ২০২২ সালে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমি গর্বিত যে, বিশ্বজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানিখাতে সংকট সত্ত্বেও আমাদের প্রতিষ্ঠান এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে। ভোক্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত করতে ও সচেতনতা তৈরির জন্য আমরা তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছি ও ক্যাম্পেইন বাড়িয়েছি। তারই ফলশ্রুতিতে ঘরে ঘরে হরলিক্সের ব্যবহার ২০২০ সালে ১৫.৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২ সালে ২৬.৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “একটি ভোক্তাপ্রিয় স্বাস্থ্যসেবা কোম্পানি হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার সহযাত্রী হবার পাশাপাশি আমরা আরো সমৃদ্ধ ও সুস্থ জাতি গঠনে আশাবাদী। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, আমরা আমাদের উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে অধিক মানসম্পন্ন ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের কার্বন ফুটপ্রিন্ট হ্রাস করতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছি। টেকসই উন্নয়নে দৃঢ় অঙ্গীকার প্লাস্টিক প্যাকেজিংয়ে আমাদের দায়িত্বশীল হতে ও অভ্যাসগত পরিবর্তনের মাধ্যমে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ‘সার্কুলার মডেল’ বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিতে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি গর্বিত যে, আমরাই বাংলাদেশের প্রথম প্রতিষ্ঠান- যেটি ‘প্লাস্টিক নিউট্রালিটি’ অর্জন করেছে।”
দেশের অন্যতম বৃহত্তম নিত্যব্যবহার্য ও ভোগ্যপণ্য (এফএমসিজি) প্রস্তুতকারী কোম্পানি ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেড (ইউসিএল) ১৯৭৪ সাল থেকে বাংলাদেশে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। চার দশকের অসাধারণ পথচলায় দেশের স্বাস্থ্য-খাদ্য-পানীয় ক্যাটাগরিতে ইউসিএল শক্তভাবে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। ইউসিএলের পোর্টফোলিওতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে হরলিক্স, মালটোভা, বুস্ট, গ্লুকোম্যাক্স-ডি এর মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড।
বৈশ্বিক এফএমসিজি ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম বৃহৎ কোম্পানি ইউনিলিভারের সঙ্গে সফলভাবে একীভূতের পর, উদ্দেশ্যচালিত ব্র্যান্ড ও উদ্যোগসমূহের মাধ্যমে বাংলাদেশে অপুষ্টির বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউসিএল প্রতিষ্ঠানটির অঙ্গীকার পুনরায় জোরদার করেছে। ইউনিলিভার কম্পাসে অন্তর্ভুক্ত টেকসই জীবনমানের লক্ষ্যসমূহকে সঙ্গে নিয়ে ইউসিএল ‘পজিটিভ নিউট্রিয়েশন’ এজেন্ডা বাস্তবায়ন এবং স্বাস্থ্য-সুরক্ষা নিশ্চিত ও ক্ষুধা বিলোপের উদ্দেশ্য পূরণে অবদান রেখে চলেছে।
অর্থসংবাদ/এসএম