পরবর্তীতে গত শনিবার (১৩ মে) হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব উম্মে সালমা লুনা ক্লাসে থাকা অবস্থায় নেটওয়ার্ক টেকনিশিয়ান জনাব ইলিয়াস উক্ত ভবনের রাউটারটি রি-সেটআপ করে আসেন। অতঃপর তার কাছে রাউটার পাসওয়ার্ড চাইলে তিনি তাঁর সাথে চরম দুর্ব্যবহার করেন এবং বলেন একজন শিক্ষকের ইন্টারনেট কি প্রয়োজন? একই সাথে জনাব সালমা-কে হুমকি প্রদান করেন যা কর্মচারী শৃংঙ্খলা ও আচরণ বিধি লঙ্ঘনের সামিল। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গত রবিবার (১৪ মে) লিখিত অভিযোগের দিনই তাকে সাময়িকভাবে চাকুরী হতে বরখাস্ত করা হলো। বরখাস্ত থাকাকালীন সময়ে তিনি নিয়মানুযায়ী জীবন ধারণ ভাতা পাবেন।
গত সোমবার (১৫ মে) তাঁর লিখিত অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে একটি রিপোর্ট প্রদানের জন্য উপাচার্য শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাঃ জাহাঙ্গীর হোসেনকে আহবায়ক করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছেন। এতে কমিটিতে ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন, উপ-রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) মো. আলীবদ্দীন খান আছেন। এ গঠিত কমিটি ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করবেন।
অপরদিকে, মঙ্গলবার (১৬ মে) ইবি সহায়ক কর্মচারী সমিতি উপাচার্য শেখ আবদুস সালামের নিকট কর্মচারীকে হুমকি দেয়ার প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন ও বিচার দাবী স্মরকলিপি দেন।
স্মরকলিপিতে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারী জনাব জাহাঙ্গীর আলম পরিচয়দানকারী ইলিয়াস-কে বিনা কারণে অকথ্য ভাষায় গালাগালিজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সহায়ক কর্মচারী সমিতি তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও বিচার দাবী করছি। সহায়ক কর্মচারী সমিতি উক্ত ডেপুটি সেক্রেটারী পরিচয়দানকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানাচ্ছি।