বুধবার (১৭ মে) দুপুরে পাবনার ডায়াবেটিক সমিতি পরিদর্শনে গিয়ে এক সুধী সমাবেশে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। পাবনা ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি বেবী ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, পাবনা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু ও চিকিৎসক ডা. মনোয়ারুল আজিজ। বক্তারা রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন জানিয়ে পাবনা ডায়াবেটিক হাসপাতালের উন্নয়নে তার অতীত অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ রোডের ডায়াবেটিক সমিতিতে প্রবেশ করেন রাষ্ট্রপতি। প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সমিতির চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা। এ সময় রাষ্ট্রপতি সমিতি প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন।
প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থানের পর দুপুর ২টায় সমিতি থেকে বের হয়ে সার্কিট হাউজে যান তিনি। চার দিনের সফরের তৃতীয় দিন বুধবার বিকাল ৫টায় পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু কর্নার, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল উদ্বোধন ও আইনজীবীদের সঙ্গে তিনি মতবিনিময় করবেন। এরপর জুবলি ট্যাঙ্কের বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন বিনোদন পার্ক পরিদর্শন করবেন।
গত সোমবার (১৫ মে) দুপুর ১২টা ৮ মিনিটে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে নিজ জেলা পাবনায় এসে পৌঁছেন রাষ্ট্রপতি। এরপর পাবনা সার্কিট হাউজে উপস্থিত হয়ে গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর দুপুর দেড়টায় জেলা পরিষদের বঙ্গবন্ধু চত্বরের নামফলক উদ্বোধন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ২টার দিকে পাবনা সদরের আরিফপুরে বাবা-মায়ের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাতে অংশ নেন। এরপর তিনি স্কয়ার বাগানবাড়িতে পারিবারিক সমাধিস্থলে উপস্থিতি, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও প্রার্থনায় অংশ নিয়ে প্রথম দিনের কার্যক্রম শেষ করে সার্কিট হাউজে অবস্থান করেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে পাবনার বিসিক শিল্পনগরীতে স্কয়ার সায়েন্স অ্যান্ড লাইফ প্ল্যান্ট উদ্বোধন করেন। দুপুর ১২টার দিকে পাবনা প্রেসক্লাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বিকালে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে ঢাকা-পাবনা ট্রেন চলাচলের ঘোষণা দিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।
রাষ্ট্রপতির প্রটোকল কর্মকর্তা নবিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সফরসূচি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সার্কিট হাউজে গার্ড অব অনার গ্রহণ শেষে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি।