শনিবার (২০ মে) ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওজন ও পরিমাপবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা- ইন্টারন্যাশনাল ব্যুরো অব ওয়েটস অ্যান্ড মেজারস (বিআইপিএম) এবং ইন্টারন্যাশনাল ব্যুরো অব লিগ্যাল মেট্রোলজি (বিআইএমএল) এর সকল সদস্যভুক্ত দেশের ন্যায় বাংলাদেশের জাতীয় মান সংস্থা-বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এর উদ্যোগে ২০ মে ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস’ উদযাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।’
সরকার প্রধান বলেন, এ বছর বিশ্ব মেট্রোলজি দিবসের প্রতিপাদ্য-‘পরিমাপ বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থার সহায়ক’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করেছি। ডিজিটাল পদ্ধতির পরিমাপ ব্যবসা-বাণিজ্য ও ভোক্তা পর্যায়ে পরিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। পরিমাপের গতানুগতিক পদ্ধতিকে ডিজিটালে রূপান্তরের মাধ্যমে উন্মুক্ত তথ্য প্রাপ্তিসহ সঠিক পরিমাপে পণ্য ও সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে এবং টেকসই উন্নয়েনে ভূমিকা রাখবে। বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় দেশব্যাপী বিভিন্ন স্তরের অংশীজনের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ও বিশেষ অভিযান পরিচালনাসহ জনস্বার্থ বিরোধী কাজ নিরসনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জনগণের ন্যায্য অধিকার সমুন্নত রাখা এবং সুষ্ঠু ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে বিএসটিআইয়ের পদক্ষেপসমূহ সব মহলে প্রশংসিত হচ্ছে। এবারের মেট্রোলজি দিবসের গৃহীত কর্মসূচি ক্রেতা-ভোক্তা, উৎপাদক, আমদানিকারক, গবেষক ও বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও সক্রিয় হতে উৎসাহ যোগাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরিমাপসহ সকল ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি বাস্তবায়িত হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তরের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিল্পোদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও বিএসটিআই আরও উদ্যোগী ভূমিকা পালন করবে। আমি ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।’