ব্যবসা সম্প্রসারণ, সেবা পরিধি বাড়ানোর মাধ্যমে ব্যবসায়িক কার্যক্রমে আরও গতি আনতে এ অর্থ খরচ করবে নগদ। একই সঙ্গে পুরনো কিছু ঋণও এর মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
কোম্পানিটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে শুধু কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে এই বন্ড বিক্রির অনুমতি পায়। বন্ডের প্রকৃতি হস্তান্তরযোগ্য, রিডিমেবল এবং অরূপান্তরযোগ্য। এর ফলে নগদ লিমিটেড খুব কম সময়ে লাভে আসবে বলে আশা করছেন এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে নগদের হেড অব পাবলিক কমিউনিকেশন্স মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বেড়ে ওঠা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মর্যাদা পাওয়া নগদের গ্রাহক সংখ্যা ইতোমধ্যে সাড়ে ৭ কোটি পেরিয়ে গেছে। এত বেশি গ্রাহকের জন্য প্রয়োজনীয় ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণ, নেটওয়ার্ক তৈরি, চলমান ঋণ পরিশোধ, কার্যকরী প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা, আইটি সরঞ্জাম সংগ্রহ, বিপণন ও একই সঙ্গে প্রচারের কাজে খরচ করা হবে বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ।’
এর মাধ্যমে দেশে ছাপা টাকার ব্যবহার কমিয়ে ক্যাশলেস লেনদেনে গ্রাহকদের সামনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করার জন্য কাজ করবে বলেও জানান তিনি।
এই জিরো কুপন বন্ডের মেয়াদ পাঁচ বছর এবং কুপনের হার ১০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। জিরো কুপন বন্ডের মাধ্যমে কোম্পানিটি আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে লাভে আসবে বলে তারা আশা করছে।
২০১৯ সালে সেবা চালু করার পর একে একে নানা উদ্ভাবন দিয়ে বাজারে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে নগদ। একই সঙ্গে তাদের উদ্ভাবন আর্থিক খাতের বাজারে ডিজিটালাইজেশন নিশ্চিত করেছে।
প্রতিযোগিতামূলক সেবা নিশ্চিত করায় নগদে এখন দৈনিক ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে।
এর আগে গত ১৭ মে ‘নগদ ফাইন্যান্স পিএলসি’ নামে নতুন একটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।