রাষ্ট্রপতি মনে করেন, শিল্প খাতে সফল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শিল্পোদ্যোক্তাদের সম্মাননা প্রদান নবীন শিল্পোদ্যোক্তাদের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিল্প কারখানা স্থাপনে উৎসাহিত করবে এবং দেশে গুণগত শিল্পায়নের ধারা অধিকতর বেগবান হওয়ার পাশাপাশি সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরো তরান্বিত হবে। শিল্পখাতের উৎকর্ষ সাধনের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নির্বাচিত শিল্পোদ্যোক্তাদের ‘সিআইপি (শিল্প) ২০২১’ সম্মাননা প্রদান করছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। সম্মাননাপ্রাপ্ত উদ্যোক্তাদেরও আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই’।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শিল্পখাতের অবদান অনস্বীকার্য। টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের ওপর জাতির সামগ্রিক অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি নির্ভর করে।
তিনি বলেন, দেশে শিল্পোন্নয়নের ধারা অক্ষুন্ন রেখে শিল্পখাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও টেকসই শিল্পায়নের ক্ষেত্রে সরকারের গৃহীত বহুমুখী উদ্যোগ শিল্পখাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। শিল্প কারখানায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর ফলে দেশে এখন বিশ্বমানের শিল্পপণ্য উৎপাদন হচ্ছে এবং রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবদান সুসংহত হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট ও নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও শিল্পখাতের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে এবং জিডিপিতে শিল্প খাতের অবদান ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সিআইপি (শিল্প) ২০২১’ সম্মাননা প্রদানের বিষয়টি শিল্পোদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি অনন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং সরকারি/বেসরকারি উদ্যোক্তাদের প্রতি সরকারের ধারবাহিক পৃষ্ঠপোষকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
রাষ্ট্রপতি মনে করেন, এ সম্মাননা শিল্পোদ্যোক্তাদের পণ্যের উৎকর্ষ সাধনে অনুপ্রাণিত করবে এবং উন্নয়নশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তিনি ‘সিআইপি (শিল্প) ২০২১’ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করেন।
অর্থসংবাদ/বাসস/এসএম