বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) কাছ থেকে প্রথম ইন-হিউম্যান ক্লিনিক্যাল স্টাডি শুরুর অনুমোদন পেয়েছে সংস্থাটি। একইসঙ্গে কম্পিউটারের সঙ্গে মস্তিষ্কের সংযোগ স্থাপন করে মানুষের দৃষ্টিশক্তি এবং গতিশীলতা পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করতে চায় সংস্থাটি।
ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সংস্থাটি আশা করছে, প্যারালাইসিস ও অন্ধত্বের চিকিৎসাসহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কম্পিউটার ও মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে সহায়তা করার জন্য মাইক্রোচিপ ব্যবহার করা হবে। বানরের ওপর পরীক্ষা করা চিপগুলোও এখানে কাজে লাগানো হতে পারে।
যদিও ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছরই ইলন মাস্ক বলে আসছেন মানবদেহে চিপ স্থাপনের কথা। সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছরই বাস্তবে রূপ পেতে পারে মাস্কের স্বপ্ন।
ওয়ালস্ট্রিট জার্নালকে ইলন মাস্ক জানিয়েছিলেন, ২০২২ সালের কোনো একসময়ে নিউরালিংক মানবদেহে চিপ স্থাপন করবে।
২০২২ সালের শুরুর দিকে নিউরালিংক সংস্থাটি মার্কিন এফডিএ’র অনুমোদন চেয়েছিল। সেসময় নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করা হয়।
ইতোমধ্যে শূকর ও বানরের মস্তিষ্কে নিউরালিংক ডিভাইস সফলতার সঙ্গে স্থাপন করা হয়েছে। ডিভাইসটি স্থাপন ও অপসারণ সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে দাবি সংস্থাটির।
অর্থসংবাদ/এসএম