হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিগত অর্থবছরের তুলনায় খানিকটা বাড়িয়ে চলতি অর্থবছরে ৬০৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সেই হিসেবে অর্থবছরের জুলাইয়ে বন্দর থেকে ৪২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরিত হয়েছে ২৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। আগস্টে ৪৯ কোটি ৬ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৩৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, সেপ্টেম্বরে ৪২ কোটি ১৪ লাখ টাকার বিপরীতে ৩৬ কোটি ৯৯ লাখ, অক্টোবরে ৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার বিপরীতে ৩৭ কোটি ৪৩ লাখ, নভেম্বরে ৫৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকার বিপরীতে ৪৭ কোটি ২৫ লাখ, ডিসেম্বরে ৫০ কোটি ৩৩ লাখ টাকার বিপরীতে ২৮ কোটি ৩৬ লাখ, জানুয়ারিতে ৪৯ কোটি ৭১ লাখ টাকার বিপরীতে ২৪ কোটি ১৭ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ৪৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকার বিপরীতে ২৫ কোটি ৭৭ লাখ, মার্চে ৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার বিপরীতে ৫৭ কোটি ৯৭ লাখ, এপ্রিলে ৬২ কোটি ৩৭ লাখ টাকার বিপরীতে ৩৪ কোটি ১২ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণ হয়েছে।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন উপকমিশনার বায়জিদ হোসেন বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দর থেকে মোটামুটি যেসব পণ্য থেকে বেশি শুল্ক আহরণ হয় সেসব পণ্যের আমদানি কমেছে। যে কারণে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। বন্দরে যে জিরা আমদানি হতো তার পরিমাণ কমে গেছে। গেল জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে জিরা আমদানিতে একেবারে ধস নেমেছে। আগের চেয়ে এখন মাত্র ৪০ ভাগ জিরা আমদানি হচ্ছে। আমরা আশা করেছিলাম ঈদুল আজহাকে ঘিরে দেশে মসলার চাহিদা থাকে এতে করে বন্দর দিয়ে জিরার আমদানি বাড়বে, কিন্তু তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘জিরার পর পাথর আমদানিও কমেছে। গত বছরের তুলনায় এ বছরের একই সময়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টন পাথর কম আমদানি হয়েছে। এছাড়া বন্দর দিয়ে অনেক ফুচকা আমদানি হতো, সেটির আমদানিও একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে দুই মাসের বেশি সময় ধরে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ রয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব না হলেও গত অর্থবছরে যা আদায় হয়েছিল, তার চেয়ে রাজস্ব বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’
অর্থসংবাদ/এসএম