সোমবার (২৯ মে) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ৩৬তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচিত উপস্থাপন এবং প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এসময় ৩৪টি বিভাগের প্রায় দুই হাজার তিনশত এর অধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যেক ইউনিটের সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ২জন করে মোট ৮জন শিক্ষার্থীকে ফুল ও স্যুভেনি প্রদান করা হয়।
এ অনুষ্ঠানে ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক ও ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। এবং ওরিয়েন্টেশন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.কিউ.এম. মাহবুব ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ.এম আলী হাসান, ডিনবৃন্দের পক্ষে অধ্যাপক ড. এইচ. এন. এম. এরশাদ উল্লাহ, বিভাগীয় সভাপতিবৃন্দের পক্ষে অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, আইআইইআর-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান, পরিবহণ প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে গঠিত অভিযোগ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল, গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) এস. এম. আব্দুল লতিফ, পরীক্ষা-নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) আবুল কালাম আজাদ এবং প্রধান মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সিরাজুল ইসলাম।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ভর্তি পরিক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার সময় আপনি, আপনার বাবা-মা কতটা উদ্বিগ্ন ছিলেন। এ সকল উদ্বিগ্নতা কাটিয়ে যেদিন আপনি গৌরবান্বিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলেন সেদিন থেকে পরিবার ও বাংলাদেশ আপনাকে নিয়ে একটা স্বপ্ন পরিচর্চা করেছে। আজ থেকে আপনারা কমিটমেন্ট করেন তাদের স্বপ্নকে ভাঙবেন না।
এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন বলেন, বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা নিয়ে ভাবনা হলো গণমুখী শিক্ষা, কর্মমুখী শিক্ষা, গবেষণামুলক শিক্ষা। শিক্ষার জন্য দরকার উপযুক্ত পরিবেশ ও উপযুক্ত শিক্ষক। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এদুটি রয়েছে। শুধু প্রথম হওয়া নয়, বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে তোমাদেরকে মেধাবী, সৃজনশীল ও মানবিক মানুষ হতে হবে।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.কিউ.এম. মাহবুব বলেন, তোমরা শিক্ষিত হও, সুশিক্ষিত হও। তোমাদের সামনে অবান্তর সময় পড়ে আছে। তোমরা এখানে যারা আসছো বাই চান্স আসছো, বাই চয়েজ নয়। চয়েজ করেছো একটা পেয়েছো আরেকটা। যেটা পেয়েছো ওটাকে আঁকড়ে ধর, লেগে থাকো। নিজেকে তৈরি কর, দেশে, বিদেশে অসংখ্য চাকুরি আছে।
সহকারী অধ্যাপক ড. মিঠুন মুস্তাফিজের সঞ্চালনায় আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এরপর নবীনদের জন্য এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।