সোমবার (২৯ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর আয়োজিত ‘স্মার্ট এডুকেশন ফেস্টিভ্যাল’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কারিকুলামের নানা দিক বুঝে উঠতে আমাদেরও কিছুটা সময় লাগছে। শিক্ষক, অভিভাবকদেরও অভ্যস্ত হতে সময় লাগবে। তবে আমরা সৌভাগ্যবান শিক্ষার্থীদের অভ্যস্ত হতে অনেক কম সময় লাগছে।
দীপু মনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন স্মার্ট সিটিজেন। স্মার্ট শিক্ষার মধ্য দিয়েই স্মার্ট সিটিজেন তৈরি হবে। আর স্মার্ট শিক্ষার বড় উপাদান হলো নতুন শিক্ষাক্রম। অনেক পরিশ্রম করে আমরা সকলে মিলে একটা ভালো শিক্ষাক্রম তৈরি করতে পেরেছি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্মার্ট শিক্ষার কৌশল নির্ধারণে এ এডুকেশন ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করা হয়েছে। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বিশেষজ্ঞদের মতামত আমরা পাবো। এর ফলে আমরা আমাদের পরিকল্পনাকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পরবর্তী পদক্ষেপ হলো স্মার্ট বাংলাদেশ। স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম হাতিয়ার হলো স্মার্ট শিক্ষা। আমরা গতানুগতিকতা থেকে বেরিয়ে আসব। সেটাই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য। স্মরণশক্তি নির্ভর সনাতনী পরীক্ষা থেকে বেরিয়ে সত্যিকার অর্থে দক্ষতা নির্ভর মূল্যায়ন কিভাবে করা যায় সেই চেষ্টা চলছে।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট শিক্ষার কৌশল নির্ধারণে মাউশি অধিদপ্তর তিন দিনব্যাপী এই ‘স্মার্ট এডুকেশন ফেস্টিভ্যাল’ আয়োজন করেছে। এতে ২০টি স্মার্ট শিক্ষা কার্যক্রম প্রদর্শন ও ১১টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। যার মাধ্যমে একটি কেন্দ্রীয় স্মার্ট শিক্ষা ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা হবে।
মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাউশি’র পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) শাহেদুল খবীর চৌধুরী প্রমুখ।