কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে ফায়ানর-বোল্টের বাজার হিস্যা ৯ শতাংশ উন্নীত হয়েছে। স্যামসাংয়ের বাজার হিস্যাও ৯ শতাংশে ছিল। দুটি কোম্পানির মধ্যে এ পার্থক্যই ফায়ার-বোল্টকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি জায়ান্টকে ছাড়িয়ে যেতে সহায়তা করেছে।
অন্যদিকে স্মার্টওয়াচের বৈশ্বিক বাজারে নিজেদের শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে অ্যাপল। ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে কুপারটিনোভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্টটির বাজার হিস্যা ছিল ৩২ শতাংশ। চলতি বছরের একই সময় তা কমে ২৬ শতাংশে এসেছে। চীনের বাজারে হুয়াওয়ের বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। লাটাম, এমইএ ও ভারতের বাজারে পণ্য সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় কোম্পানিটির বাজার হিস্যা কমে ৯ শতাংশের নিচে চলে গেছে। ফলে সামগ্রিকভাবেও হুয়াওয়ে স্মার্টওয়াচের বৈশ্বিক বাজারে অবস্থান তৈরি করতে বা ধরে রাখতে পারেনি। ভারতের বাজারে সাম্প্রতিক সময়ে স্মার্টওয়াচের বাজার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। আর এটি ফায়ার-বোল্টের বিকাশকে চিহ্নিত করছে। ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে দেশটিতে স্মার্টওয়াচের বাজার ছিল ১২ শতাংশ। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে তা ২৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ভারতের বাজারে ফায়ার-বোল্টের আধিপত্য স্যামসাংয়ের জায়গা দখলে নিতে সহায়তা করেছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট ও বিশ্লেষকদের।
বিশ্লেষকদের মতে, ক্রয়ক্ষমতা, গ্রাহকদের উচ্চচাহিদা, বিভিন্ন দামের স্মার্টওয়াচ প্রাপ্যতার বিষয় ভারতে স্মার্টওয়াচের বাজার বিস্তারে সহায়ক ছিল। ফায়ার-বোল্ট মূলত বিভিন্ন দামে ভারতের গ্রাহকের জন্য একাধিক মডেলের স্মার্টওয়াচ বাজারজাত করেছে। যে কারণে বিক্রি বাড়ার পাশাপাশি কোম্পানির প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।