কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এর আগে গত এপ্রিলের শেষদিন স্থানীয় মুদ্রার দামের ১ দশমিক ৫ টাকা অবমূল্যায়ন করা হয়। এ নিয়ে দুইবার টাকার দাম ১ দশমিক ৫ টাকা কমানো হলো, যা চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ।
এর আগে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির দাম সর্বোচ্চ ১ টাকা করে বাড়ানোর প্রবণতা ছিল।
বৃহষ্পতিবার নতুন দামে ৪৫ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে রিজার্ভ থেকে।
চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত রিজার্ভ থেকে রেকর্ড ১২ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরেও রিজার্ভ থেকে ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে মহামারিকালে আমদানি কম থাকায় এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ বেশি থাকায় ২০২০-২১ অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার কিনেছিল।
প্রায় প্রতিদিনই ডলার বিক্রি করায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও কমছে।
বৃহস্পতিবার দিনশেষে দেশের গ্রস বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলারে। গত কয়েকদিন আগেও এটি ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ছিল।
গত বছরের ১ জুন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৮৯ টাকা রেটে ডলার বিক্রি করেছিল। এক বছরের ব্যবধানে সেই ডলারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৬ টাকা। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় ব্যাংকই এক বছরে টাকা অবমূল্যায়ন করেছে ১৯ শতাংশের এর বেশি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন সিনিয়র নির্বাহী বলেন, 'বাংলাদেশ ব্যাংক মূলত দুটি কারণে দ্রুত হারে স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন করেছে। প্রথমত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্দেশ্য হলো রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির চাপ কমানো এবং দ্বিতীয়ত, একটি ইউনিফাইড বিনিময় হার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।'
অর্থসংবাদ/এসএম