শনিবার (৩ জুন) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে এ প্রতিশ্রুতি দেয় বাংলাদেশ। সম্মেলনটির আহ্বান করেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি সাবা কোরেশী। এতে সদস্য দেশগুলোকে ফিলিস্তিনি শরণার্থী এবং তাদের জন্য নিবেদিত সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর কার্যাবলীর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ব্রিফ করেন সংস্থাটির কমিশনার জেনারেল।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মো. মনোয়ার হোসেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার ঘোষণা করেন। তার বক্তব্যে ইউএনআরডব্লিউএর চলমান তহবিল ঘাটতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি ‘টেকসই, অনুমানযোগ্য এবং পর্যাপ্ত’ তহবিল সুরক্ষার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের সমর্থনের জন্য অস্থায়ীভিত্তিতে ইউএনআরডব্লিউএ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে শুধু আর্থিক সমর্থন প্রদান করা সমাধান নয়, এই সংকটের একমাত্র সমাধান হলো, ১৯৬৭-এর পূর্ববর্তী সীমানা অনুযায়ী দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান অর্জনের মাধ্যমে ইসরায়েলি অবৈধ দখল দারিত্বের অবসান ঘটানো।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের রেজুলেশনের মাধ্যমে ১৯৪৯ সালে ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের তাদের দুর্দশার ন্যায্য এবং স্থায়ী সমাধানের জন্য সহায়তা এবং সুরক্ষা প্রদানের জন্য একটি মানবিক এবং উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইউএনআরডব্লিউএ। বর্তমানে এই সংস্থায় শরণার্থী হিসাবে ৫ দশমিক ৯ মিলিয়ন ফিলিস্তিনি নিবন্ধিত। সরকার ও মানুষের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন স্বরুপ ২০১৮ সাল থেকে ইউএনআরডব্লিউএ-তে এ অনুদান দিয়ে আসছে বাংলাদেশ।