সোমবার (৫ জুন) এ তথ্য জানা গেছে।
ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসপিএবি) সভাপতি মো. ইমদাদুল হক বলেন, যাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে তাদের বেশিরভাগই আমাদের সদস্য নয়। যে দুই একজন সদস্য আছে তারাও হয়তো কমপ্লায়েন্স মেইটেইন করেননি, কিংবা কাগজপত্র আপডেট করেননি। বাতিল ২২টি প্রতিষ্ঠানের অনেকেই এখন অপারেশনেও নেই।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অপারেশনে থাকতে হলে তথ্য আপডেট করতে হবে। বিটিআরসির ফি পরিশোধ করতে হবে। লাইসেন্স বাতিল হওয়ার পর এখন পর্যন্ত দুই একজন বাদে কেউ অভিযোগ জানায়নি। ছোটখাটো কারণে যাদের লাইসেন্স বাতিল হয়েছে তাদের লাইসেন্স বহাল রাখতে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিটিআরসিকে জানানো হবে।
বিটিআরসি জানায়, ২২৮ টি প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) লাইসেন্স রূপান্তর (কনভার্সন) না করে সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সিং গাইডলাইন ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ এর বিধান লঙ্ঘন করায় তাদের আইএসপি লাইসেন্সসমূহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে বাতিল করা হয়েছে। ওই লাইসেন্সসমূহের অধীনে যে কোন কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে অবৈধ ও শান্তিযোগ্য অপরাধ। ওইসব প্রতিষ্ঠানসমূহকে আইএসপি লাইসেন্স সংশ্লিষ্ট সকল প্রকার কার্যক্রম হতে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কোন ধরনের টেলিযোগাযোগ চুক্তি সম্পাদনসহ সেবা গ্রহণ প্রদান এবং টেলিযোগাযোগ সেবা গ্রহণ প্রদানের বিপরীতে আর্থিক লেনদেন করা থেকে সবাইকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়।
প্রসঙ্গত, বিটিআরসির ওয়েবসাইটে ওই ২২৮ প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।