সৌদি সরকারের এক নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানকার বাংলাদেশের হজ অফিস ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে লেখা এক চিঠিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সৌদি হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয়ের বার্তার উদ্ধৃতি দিয়ে কাউন্সিলর (হজ) মো. জহিরুল ইসলামের সই করা চিঠিতে বলা হয়, সোমবার (৫ জুন) রাজকীয় সৌদি সরকারের হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে যে, আগামী ৭ জুনের মধ্যে ৮০ শতাংশ ভিসা সম্পন্ন করতে হবে। কয়েকটি দেশের ভিসাপ্রাপ্তির সংখ্যা আনুপাতিক হারে কম বিধায় ৭ জুনের মধ্যে ভিসা ৮০ শতাংশ সম্পন্ন না হলে সংশ্লিষ্ট হজ অফিসকে লাল তালিকাভুক্ত করা হবে এবং এর যাবতীয় দায়ভার সংশ্লিষ্ট হজ অফিসকে নিতে হবে।
এমতাবস্থায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৮০ শতাংশ ভিসাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হজ কার্যক্রম পরিচালনাকারী হজ এজেন্সিগুলোকে জরুরিভিত্তিতে সব কার্যক্রম সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ জানান হজ কাউন্সিলর।
একই সঙ্গে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক কো-অপারেশন বিভাগের প্রতিনিধি আল-হাসান আল-মানাখেরাহ সই করা নির্দেশনাটিও দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, হজ বিষয়ক নানাবিধ চুক্তি কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হওয়া দেশগুলোর হজ অফিসের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশেষ করে হাজিদের ভিসা ইস্যুর কাজ চূড়ান্তে পৌঁছানো দেশগুলোর হজ অফিসকেও ধন্যবাদ জানাই। তবে কিছু কিছু দেশের হজ অফিস লাল তালিকাভুক্ত হয়েছে। ফলে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন ও কার্যক্রম সম্পাদনে বেশ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে এর যাবতীয় দায়ভার সেসব হজ অফিসের ওপরই বর্তাবে।
নির্দেশনায় বলা হয়, আগামী ৭ জুনের মধ্যে ভিসা ইস্যুর ৮০ শতাংশ কাজ সম্পাদন করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে সৌদি হজ মন্ত্রণালয় যে কোনো ধরনের কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে বাধ্য থাকবে।
নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে এলেও বেসরকারি প্রায় অর্ধেক (৪৯ শতাংশ) হজযাত্রীর ভিসা ইস্যুর কার্যক্রম এখনো সম্পন্ন হয়নি। এ পরিস্থিতিতে গত ৩১ জুন তিনদিনের মধ্যে হজ এজেন্সিগুলোকে হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। কিন্তু এজেন্সিগুলো নির্দেশনা মানেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ জুন ৯০টি হজ এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। গত ২১ মে থেকে শুরু হয়েছে হজ ফ্লাইট। এরই মধ্যে ৬১ হাজার হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।
অর্থসংবাদ/এসএম