পিএসজি ছাড়ার পর বার্সেলোনায় ফেরার একটা জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। তবে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি মেসি কিংবা বার্সার। মেসির ফেরার রাস্তা তৈরি করার জন্য বার্সাকে খেলোয়াড় বিক্রি করতে হতো এবং অনেক খেলোয়াড়ের বেতন কমানো জরুরি ছিলো। এসবের কোনো কিছুর কারণ হতে চাননি বলে জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।
বার্সেলোনায় ফিরতে তিনি বেশ আগ্রহী ছিলেন, কিন্তু ব্যাটে-বলে না মেলায় সেটি আর হলো না। তার জন্য যেন অন্য কাউকে মূল্য না চুকাতে হয় সেটি নিশ্চিত করেছেন মেসি, 'আমি জানতে পেরেছি যে আমি যদি বার্সায় ফিরতে চাই তাহলে তাদের কয়েকজন খেলোয়াড় বিক্রি করতে হবে। কয়েকজনের বেতনও কমাতে হবে। আমি কখনোই এমন কিছু চাই না। আমাকে এবং বার্সেলোনাকে নিয়ে এর আগে অনেক মিথ্যা ছড়ানো হয়েছে। আমি চাই নি আবারো এমন কোনো কিছুর কারণ হতে।'
বার্সেলোনায় ফিরতে পারলে দারুণ হতো বলে আখ্যা দিয়েছেন মেসি। নিজের সাবেক সতীর্থ জাভি-ইনিয়েস্তা কিংবা বুস্কেটস-আলবাদের মতো বিদায় চেয়েছিলেন তিনি, 'আমার আগেরবারের চলে যাওয়ার ধরণটা সঠিক ছিলো না। ভেবেছিলাম এবার ফিরতে পারলে বিদায় নেওয়ার সময় সবাইকে সাথে নিয়ে সেটি করতে পারবো। কিন্তু সেটি এখন আর সম্ভব নয়।'
নিজের পরিবারের বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবেই মেসির ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত এসেছে। টাকা তার এই সিদ্ধান্তে কোনো প্রভাব ফেলেনি বলেই জানিয়েছেন মেসি, 'টাকা আমার কাছে কখনোই বড় বিষয় ছিলো না। সৌদি আরব থেকে আমার কাছে অনেক টাকার প্রস্তাব ছিলো। আমার কাছে সেটিকে অনেক বেশি টাকাই মনে হয়েছে। পরিবারকে আরো বেশি সময় দেওয়ার জন্যই আমি যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নিয়েছি।'
তবে বার্সেলোনায় না হলেও ইউরোপের অন্য অনেক ক্লাবের প্রস্তাব ছিলো মেসির কাছে। তিনি সেগুলোর কোনোটি বেছে নেননি শুধুমাত্র বার্সেলোনার কথা ভেবেই, 'আমি ইউরোপে খেললে শুধু বার্সার জন্যই খেলতাম। অন্য ক্লাব থেকেও প্রস্তাব ছিলো, কিন্তু ইউরোপে আমার একমাত্র বার্সার জন্যই থাকা হতো।'
উল্লেখ্য, ইন্টার মায়ামিতে মেসির বেতন হবে বছরে ৫০ মিলিয়ন ডলার। সেইসঙ্গে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়ে মেসি পাবেন অ্যাডিডাস এবং অ্যাপলের মতো বিশ্ববিখ্যাত এবং অন্যতম শীর্ষ ধনী দুই কোম্পানির সঙ্গে কাজের সুযোগ। যা মায়ামির সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও অব্যাহত থাকবে। ক্লাবটির আংশিক মালিকানাও পাচ্ছেন মেসি।