* রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
কালোজামে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফলে শরীরে ইমিউনিটি বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে এ গরমে সিজনাল যে জ্বর, সর্দি, কাশি অনেকাংশে কমে যাবে।
* হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম, যা আমাদের হার্টকে ভালো রাখতে সাহায্য করে কালোজাম উচ্চরক্তচাপ কমিয়ে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ থেকে হার্টকে সুস্থ রাখে।
* গ্যাস্ট্রোইন্টেন্সটাইল সুস্থতায় কার্যকর
জাম খেলে পেট ঠান্ডা হয়, ফলে দ্রুত হজম হয়ে যায়; বদহজমের সমস্যা আছে বা অম্বলের সমস্যা আছে তারা বেশি করে জাম খান, এতে করে আপনাদের পেটের গণ্ডগোল দূর করে হজমের সহায়তা করবে।
* রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সাহায্য করে
জামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ফলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বেড়ে যায়, রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং রক্তে আয়রনের পরিমাণ বাড়িয়ে রক্তস্বল্পতা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। গর্ভবতী এবং প্রসূতি মায়েদের জন্য কালোজাম ওষুধের মতো কাজ করবে।
* ত্বক ও চোখকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে:
কালোজামে রয়েছে ভিটামিন সি এবং বিভিন্ন ধরনের মিনারেলস, যা চোখ এবং ত্বকের জন্য উপকারী।
* রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে
যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের জন্য কালোজাম মহা ওষুধের মতো কাজ করে। কালোজামের গ্লাইসমিক ইনডেক্স কম হওয়ার ফলে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়া কালোজামে অ্যান্টি ডায়াবেটিক প্রপার্টি আছে, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিক রোগীদের সাহায্য করে।
* দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখে
কালোজামে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টি, যা দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখে, মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও সাহায্য করে।
* ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে
জামে উপস্থিত অক্সালিক অ্যাসিড, গ্যালিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড, টেনিন, বেটুলিক অ্যাসিড শারীরিক ইনফেকশন দূর করে সুস্থ ও নিঃরোগ রাখতে সাহায্য করে।
* হাড় ও পেশিকে মজবুত করতে সাহায্য করে
জামে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি আছে; যা শরীরে হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে। ফলে অস্টিওপরোসিস, আরথাইটিস, ইত্যাদি হাড়ের রোগ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে পর্যাপ্ত পরিমাণে কালোজাম খেতে পারেন।