আজ বৃহস্পতিবার (৮জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বিএফআইইউ’র পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর পরিচালক তানভীর মমতাজ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষর করেন।
উপস্থিত কর্মকর্তারা মনে করেন, সমঝোতা স্মারকটি বাংলাদেশে অবৈধ আর্থিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উদ্দেশ্যে বিএফআইইউ এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মধ্যে তথ্য বিনিময়, সহযোগিতা এবং সমন্বয়ের জন্য একটি সুদৃঢ় কাঠামো স্থাপন করবে। তাদের নিজ নিজ দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে, সংস্থা দুটি মানি লন্ডারিং সংশ্লিষ্ট স্কিম সনাক্তকরণ এবং তা প্রতিরোধে বিদ্যমান প্রচেষ্টার কার্যকারিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে।
সমঝোতা স্মারকের মূল বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত তথ্য আদান প্রদান, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি বা সংস্থাগুলি সনাক্তকরণ, উভয় সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ এবং প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন। যা সংস্থা দুটির পারষ্পরিক সহযোগিতা মাদকদ্রব্য সংশ্লিষ্ট আর্থিক অপরাধসমূহ সনাক্তকরণ, অনুসন্ধান, তদন্ত কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী ও বেগবান করবে।
বিএফআইইউ’র পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও বিএফআইইউ’র উপপ্রধান এএফএম শাহিনুল ইসলাম, বিএফআইইউ’র পরিচালক মো. মাসুদ রানা, যুগ্ম পরিচালক মো. আরিফ খান, উপপরিচালক আ.ন.ম. কলিম উদ্দিন হাসান তুষার এবং সহকারী পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম । মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ হতে উপস্থিত ছিলেন উপপরিচালক রাজিব মিনা এবং মো. বজলুর রহমান।
সমঝোতা স্মারকটি বিএফআইইউ এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মধ্যে একটি অংশীদারিত্বের মঞ্চ তৈরি করেছে, যা মানিলন্ডারিং এর বিরদ্ধে চলমান লড়াইয়ে উভয় সংস্থাকে সহায়তা করবে।