শনিবার (১০ জুন) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বগাইল এলাকায় পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ভাঙ্গা-যশোর সেকশনে রেললাইন স্থাপন কাজের উদ্বোধনকালে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী আগষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে মাওয়া থেকে-ঢাকা পর্যন্ত রেলের ট্রায়াল রান করতে পারবো। ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত (২য় অংশের) কাজের অগ্রগতি সন্তোজনক। এ পথে প্রায় সকল সেতু হয়ে গেছে। তবে ছোট খাটো কিছু কাজ রয়েছে। ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে সকল কাজ সম্পন্ন করতে পারবো।
রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেল চালু হলে অনেক পথ কমে যাবে, পাশাপাশি সময় বাঁচবে। যোগাযোগ ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আসবে। একাজ শেষ হওয়ার পর ভাঙ্গা থেকে পায়রাবন্দর হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করার কাজ শুরু হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, একদিকে কোভিড, পরবর্তীতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ-এমনই একটি বৈরি সময়ে আমরা এ প্রকল্পের কাজ করছি। তিনি বলেন, এক সময় রেলকে মৃত সংস্থায় পরিণত করা হয়েছিল। অবিভক্ত ভারতে রেল যেভাবে আমরা পেয়েছি, পরবর্তীতে ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে রেল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু রেলকে বিস্তৃত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর রেল শুধু পিছনের দিকে গেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের গুরুত্ব বুঝতে পেরে আলাদা রেলপথ মন্ত্রণালয় করেছেন। যে দেশ যত উন্নত, সে দেশে রেল তত উন্নত।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ চলমান রয়েছে। খুব দ্রুত এই রুটে রেল চলাচল শুরু করা সম্ভব হবে। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ৬৪ জেলায় রেল নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। সে লক্ষ্যে ভারসাম্যপূর্ণ পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। গত ১২-১৩ বছরে দেশে রেলের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। রেল ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা হয়েছে। রেলে গতি এসেছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজিমউদ্দিন, ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম, ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক সোবহান মুন্সী, প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ প্রমুখ।